এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়েই যেন যাচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। এতে সারাবিশ্বেই পাল্লা দিয়েই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ছে।
২০১৮ এর চেয়ে ২০১৯ সালে গোটা বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ৪ শতাংশ। যা এক বছরের ব্যয় বৃদ্ধির রেকর্ডে গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
লন্ডনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) বার্ষিক প্রতিবেদনে এই হিসাব দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে এই প্রতিবেদন উন্মোচন করা হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ইউরোপেও সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে। ২০১৮ সালের চেয়ে তুলনায় এই ব্যয় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। আর্থিক সংকটের আগে এত মাত্রায় ওই অঞ্চলে সামরিক ব্যয় কখনো বাড়েনি।
এই পরিসংখ্যানের বোঝা যাচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি দেশ একে অপরের সঙ্গে কতটা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এদিকে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন—উভয় দেশের সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যয়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হলেও চীনের তা হচ্ছে ধীরগতিতে।
বেইজিং আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার কারণে এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। এই ধারা গত বছরও অব্যাহত ছিল। বিগত এক দশকে গোটা এশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
জানা গেছে, অঞ্চলটির (এশিয়ার) দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়াতেই প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ছে।
আইআইএসএস এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইউরোপে সামরিক খাতে যে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশের অংশীদার হলো জার্মানি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ এর চেয়ে ২০১৯ সালে ইউরোপের শক্তিধর এই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বের সকল দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ও ব্যয় বিশ্লেষণ করে তৈরি ওই প্রতিবেদেনে বলা হচ্ছে, আমাদের সময়ে সবচেয়ে বড় কৌশলগত সংকট ও সমস্যার বিষয় হলো, প্রতিযোগী রাষ্ট্রগুলো এখন এমন কৌশল ব্যবহার করছে, যাতে করে প্রত্যেকেই একটা যুদ্ধের ঠিক দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বের জন্য বড় আতঙ্কের বিষয়।