বছরের শুরু থেকেই ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা করে আসছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গত দুই মাসে ৮,২৫৩ জন অবৈধ বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আর এদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিওিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বলছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজাইমি দাউদ সাংবাদিকদের বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশ জুড়ে পরিচালিত ২ হাজার ২শত ৯৩ টি অভিযানে আটক করা হয় বিভিন্ন দেশের ২৯ হাজার ২৪৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে। এদের মধ্যে কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে ৮, ২৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা জানাযায়নি।
পরিচালক বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের অভিযান পরিচালনা থেকে ভিন্ন কায়দায় অভিযান চলছে নতুন বছরে। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা পাচ্ছি। অবৈধ অভিবাসীদের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে যা শুধু জাতীয় ও সীমান্ত নিরাপত্তাকেই বিঘিœত করেনা বরং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর ব্যপক প্রভাব ফেলছে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য সরকার ২০১৭ সালে সুযোগ দেয়। দফায় দফায় বধতার সময় বাড়িয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালের আগষ্টে। ঐ সময় বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে বহু বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করে প্রতারণার শিকার হয়। এর পর অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সেদেশের সরকার ব্যাক ফর গুড কর্মসুচির ম্যাধমে দেশ ত্যাগের সুযোগ দেয়। দেশ ত্যাগের সুযোগ শেষ হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে। এ কর্মসূচীর আওতায় এই কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৯২ হাজার ২৬০ জন অবৈধ বিদেশি তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ৫৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। এর পরপরই শুরু হয় চিরুনি অভিযান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন থেকে ইমিগ্রেশন বাহিনীর হাতে আটক কাগজপত্র বিহীন বিদেশি অভিবাসিদের আটকের পর বিচারের মুখোমুখি করা হবে।