logo
আপডেট : 5 March, 2020 03:41
দিল্লিতে ৭০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লিতে ৭০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়: ফবি সংগৃহিত

প্রিয়া সরদার, কলকাতা থেকে: দিল্লি সহিংসতায় প্রায় ৭০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সংঘর্ষের পর দিল্লির পরিস্থিতি ভয়ংকর এবং করুণ। চারদিকে মৃতদেহের স্তুপ পড়ে আছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। নালা থেকে এখনও মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। অনেক মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দিল্লির হিংসায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা হিন্দু না মুসলিম, জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে। 

তিনি আরো বলেন, “আমার এক সাংবাদিক বন্ধু আমাকে জানিয়েছে- এখনও পর্যন্ত ৭০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে”।   

বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে এক অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লিতে সহিংসতার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দিল্লির সহিংসতা থেকে নজর ঘোরাতেই কয়েকজন মানুষ এবং সরকার সমর্থিত কয়েকটি চ্যানেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাদের অহংকারটা ভাবুন। তারা বলছে “গুলি করো...” আমি সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, “দিল্লি আর বাংলা এক নয়”। বাংলাদেশের যে সমস্ত মানুষ ভারতে রয়েছেন, তাদের নিয়ে তার মন্তব্য সংবাদমাধ্যম ভুল ব্যখা করেছে বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি বলেন, আমি কখনই বলিনি, যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তারা সবাই এখানকার নাগরিক। দেশভাগের সময়, পাকিস্তান থেকে অনেকেই আমাদের দেশের পাঞ্জাব, গুজরাট, দিল্লি, বাংলায় এসেছেন, বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকেও অনেকে এসেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী আসার পর, নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেখানে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা লোকজনদের নিয়ে চু্ক্তি হয়। আবার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে চু্ক্তি হয়, যাতে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। আমি তাদের কথা বলেছিলাম।

তার দাবি, তিনি এদেশের নাগরিকদের কথা বলেছেন, এবং কেন তাদের, বিজেপি সরকারকে নাগরিককত্বের প্রমাণ্য নথি দেখাতে হবে, তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, দিল্লির মতো একটি ছোট্ট জায়গায় যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পারে না, তাদের বাংলা নিয়ে কথা বলা সাজে না।’