সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গুরুত্বর আহত হয়েছেন ৮ জন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) সকালে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিরগাঁও ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া এবং ওসি মাইনুর ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যেকদর্শিদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁও এলাকায় একই পরিবারের ১২জন সদস্য এনা পরিবহন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। এই সময় বাম পাশ থেকে অপর একটি মাইক্রোবাস ওভারটেক করলে এনা পরিবহনটি সাইড কাটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
পরে দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল করেজ হাসপাতালে। তবে গুরুতর আহত তিনজন এখনও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। নিহতরা হল- ইমন খান (২৭), রাজীব (২৮), মহসিন (৩০), রাব্বী (২৪) আসমা (৩০) সুমনা (৩৪) ও শিশু হাদিজাসহ(৪) আরও তিনজন।
এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বশেষ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতরা সিলেট ওসমনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে।
এদিকে, একই দিন ভোররাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার রামপুরে এক যাত্রীবাহী বাস লিমন সিলেটে যাচ্ছিল মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। এ সময় কালিসীমা এলাকায় এর বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসটি আগুনে জ্বলে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হত আর চারজন যাত্রী। পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিহতরা হল - সাহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমনসহ (১৯) আরও দুই জন। এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুর ইসলাম বলেন, দুই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন ধরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা চিকিৎসাধীনে রয়েছে।