প্রিয়া সরদার, কলকাতা থেকে: বসন্ত উৎসবে অশ্লীল ঘটনার বিতর্কের কারণেই শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বসন্ত উৎসব আয়োজিত হয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মরকতকুঞ্জ (বিটি রোড) প্রাঙ্গণে। সেই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা ছাড়াও আরও অনেক বহিরাগত অংশ নেন সেখানে। বেশ কয়েক জন তরুণ-তরুণীকে পিঠে এবং বুকে রং দিয়ে অশ্লীল শব্দ এবং বিকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখতে দেখা যায়। সেই ছবি দাবানলের মতো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বসন্ত উৎসবের নামে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কী চলছে? এই প্রশ্ন তুলে বিস্ময় প্রকাশ করতে শুরু করেন শিক্ষাবিদ থেকে সাহিত্যিক, রবীন্দ্রভারতীর অধ্যাপক থেকে অন্যান্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সবাই বলতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের। এরা কারা? কী এদের সংস্কৃতি? রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে হাজির তরুণতরুণীদের ছবি ভাইরাল হতেই, চার দিকে ছিঃ! ছিঃ! রব উঠে। মান বাঁচাতে পুলিসের দ্বারস্থ হয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে এই তরুণ-তরুণীরা। উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেন,''এটা অনভিপ্রেত ঘটনা। বাবা-মা কেমন শিক্ষা দেন এদের!''
ছাত্র সংসদ অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতেই এমন কাজ করেছে বহিরাগতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয় তো এরা কারা? খোঁজ শুরু করে ছাত্র সংসদও। দেখা যায় হুগলি, শ্রীরামপুর, চন্দনগর থেকে বসন্তোৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে তারা। ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠান আদৌ করা যাবে ক্যাম্পাসে? পদত্যাগের আগে উপাচার্য জানান, ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠান আর হবে কিনা জানি না।
এ ঘটনায় চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।