ষ্টাফ রিপোর্টার: এবার প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শনিবার (৭ মার্চ) নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুমো এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
সর্তকতা হিসেবে রাজ্য জুড়ে ৪ হাজার বয়ষ্ক মানুষ (ঘরবন্দী) আইসোলেশনে আছেন। নিউইয়র্ক সিটিতে ২৭শ, ওয়েস্টচেস্টারে ১ হাজার এবং নাসাউতে ৭০ জনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এন্ড্রু কুমো জানান, করোনা ইস্যুতে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এদিন নিউইয়র্কে করোনার পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।
কুমো জানান, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ থেকে বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা। এছাড়াও সব মিলিয়ে ওয়েস্টার্ন কাউন্টিতে ৫৭ জন, নাসাউ কাউন্টিতে ৪ জন, রকল্যান্ড কাউন্টিতে ২ জন ও সারাতোগা কাউন্টিতে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সতর্কতা হিসেবে নিউইয়র্কের সব স্কুল বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন কুমো। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে বাইরে থেকে আগত অতিথিদের প্রবেশাধিকারেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে নিউইয়র্কে প্রায় ১২ জন ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই অঙ্গে নাগরিকরা যেন কোয়ারেন্টাইনে থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তার আহ্বানও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেন অবৈধ মেডিক্যাল উপকরণ বিক্রি করা না হয় এবং বৈধ পণ্যগুলো যেন বেশি দামে বিক্রি করা না হয় সে বিষয়েও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন ফার্মেসিতে মেডিক্যাল সরঞ্জাম অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, এটি কাম্য নয়। আমরা সতর্ক করে বলছি, এমনটা হতে থাকলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেবো। একই সঙ্গে ফেসবুক, ইবে'তে এ ধরনের অনেক পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যার বেশিরভাগই চোরাই বা অবৈধ পণ্য। আমরা ফেসবুক, ইবেকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দায়িত্বশীল কর্পোরেট নাগরিকের মতো আচরণ করে। নইলে পুলিশ তার মতো পদক্ষেপ নেবে।