logo
আপডেট : 14 March, 2020 02:26
যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি
মেইল রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি

করোনাভাইরাসের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে স্পেনেও।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমি জাতীয়ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সকল রাজ্যে জরুরি কেন্দ্র খোলা হবে। 

১৯৮৮ সালের এই আইনের আওতায় ফেডারেল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফেমা) সকল রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারকে দুর্যোগ তহবিল সরবরাহ করবে।

এর আগে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন।

স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি:
এদিকে, করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্পেন। শুক্রবার (১৩ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ এ ঘোষণা দেন।

পেড্রো সানচেজ বলেন, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি অবস্থার তিন ধাপের প্রথমটি জারি করা হল।

পেড্রো সানচেজ সতর্ক করে জানান, সামনের সপ্তাহগুলোতে খুব কঠিন সময় পার করতে হবে। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এই সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) স্পেনে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে মারা গেছে ৫৩ জন। যার ফলে কভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ১২০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২০৯ দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় জরুরি অবস্থার তিন ধাপের প্রথমটি জারি করেছে দেশটির সরকার।

সামনের সপ্তাহের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি অবস্থার তিন ধাপের প্রথমটি অর্থাৎ ‘জরুরি রাষ্ট্রীয় সতর্কতা’ (স্টেট অব এলার্ট) জারি করা হয়েছে।

স্টেট অব এলার্ট জারি থাকবে ১৫ দিন। এছাড়া এই জরুরি সতর্কতা জারির কারণে দেশটির সরকার দেশব্যাপী বিস্তৃতি নানা পদক্ষেপ নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে মানুষকে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়াও হতে পারে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজধানী মাদ্রিদে সকল ধরনের রেস্তোরাঁ, পানশালা এবং দোকান বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। শুধু সুপারমাকের্ট এবং ওষুধের দোকানগুলোই খোলা থাকবে।