কয়েকদিন আগেও রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় যদি কোন ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করত, তাহলে আমরা অনেকেই একটু অবাক দৃষ্টিতে দেখতাম। হয়ত ওই ব্যক্তির ধুলাবালিতে এলার্জি সমস্যা ছিল। কিন্তু সেটা আমাদের বিবেচনায় থাকত না। কেউ কেউ আবার মাস্ক ব্যবহারকারীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কথাও বলে ফেলত।
তবে এখন সেই পরিবেশের পরিবর্তন হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে রাস্তাঘাটে এখন অনেক মানুষকেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
সকালে একটা রিক্সায় উঠলাম। রিক্সাওয়ালা মাস্ক পরে আছেন। মাস্ক ব্যবহারের কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানালেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্যই মাস্ক ব্যবহার করছেন। বুঝলাম, সব ধরনের মানুষই এখন অনেকটা সচেতন।
মাস্ক ব্যবহারে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব কিনা সেটা ভিন্ন কথা। তবে জনবহুল এই দেশের সাধারণ মানুষ যতটুকু জানতে কিংবা বুঝতে পেরেছে, সেটা থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। পরিচিত অনেকেই দেখলাম হ্যান্ডশেক করা বন্ধ করে দিয়েছে, নিয়মিত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করছে। সব ইতিবাচক লক্ষণ।
অনেকেই জানতে পেরেছেন করোনাভাইরাস ফুসফুস আক্রান্ত করে। সেই কারণে অনেক ধূমপায়ী ধূমপানের পরিমাণও অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এটাও কম কিসের?
যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম, তারাও সুস্থ হয়ে গেছেন। এর চেয়ে ভালো খবর আর কি হতে পারে।
ভালো থাকুক সবাই। সুস্থ থাকুক প্রতিটা মানুষ।
লেখক: যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।