আলোচিত সিলেটের শিশু তুহিন হত্যাকান্ডে ঘটনায় বাবা-চাচাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। দুই চাচাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া নৃশংস হত্যাকান্ডের রায়টি ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- পিতা আব্দুল বাছির (৪০) ও নাসির উদ্দিন ( ৩৫)। খালাস পেয়েছেন জমসেদ আলী (৬০) ও আব্দুল মোছাব্বির।
আলাদত সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২০১৯ সনের ১৩ অক্টোবর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিয়ে গভীর রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত শিশু তুহিন মিয়াকে জবাই করে লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে তারই পিতা ও চাচারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলাতম ও লাশ উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বজনদের আটক করে থানায় প্রেরণ করে পুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পর চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকান্ডের ঘটনা আদালতে ৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেন। পিতা আব্দুল বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি পুত্র হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি। মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, চাচা জমসেদ, নাছির, মাওলানা মোছাব্বির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আলাদাভাবে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বয়স কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
গত ২ জানুয়ারি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন। পরে ৩ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে ১০ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম বলেন, আদালত শিশু তুহিনের বাবা ও এক চাচাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। দুই চাচাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।