দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের আতংক থাকলেও এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতুর সবশেষ পিয়ারের নির্মাণ কাজ। ৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার অংশ নদীর ওপর। নদীর এই অংশে ৪২টি পিয়ার (খুঁটি) থাকবে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সবশেষ পিয়ারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এতে করে মূল সেতুর ৮৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, আজ দুপুর ১২টা থেকে পদ্মা সেতুর ২৬ নম্বর পিয়ারের সর্বশেষ ৪২তম পিয়ারের (পি-২৬) কংক্রিটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজকের মধ্যেই শেষ হবে কংক্রিটিংয়ের কাজ। এখন থেকে শুধু স্প্যান, রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সব ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিলে আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এপ্রিলের মাঝামাঝি ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারের ওপর একটি স্প্যান এবং এর সপ্তাহখানেক পর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ১৯ ও ২০ নম্বর পিয়ারের ওপর আরও একটি স্প্যান বসানো হতে পারে। এপ্রিল মাসে দুটি স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতুর প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হতে পারে।
৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি চীন থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এর মধ্যে ২৭টি স্প্যান বসানোর পর ৪০৫০ মিটার সেতু এখন দৃশ্যমান। বাকি দুটি স্প্যান ২০ এপ্রিল চীন থেকে সমুদ্রপথে রওনা হবে। মে মাসের মাঝামাঝি দেশে আসার পর মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে এই দুটি স্প্যান জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পাঁচটি স্প্যান জোড়া লাগানো হয়েছে। রং করার পর এগুলো পিয়ারের ওপর বসানো হবে।
তবে করোনাভাইরাসের প্রভাব পদ্মা সেতুর কাজের ওপর পড়েছে। এই ভাইরাসের আতঙ্কের কারণে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে দেশীয় শ্রমিকদের ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে বেশ কিছু স্থানীয় প্রকৌশলী রয়েছেন। মাওয়ার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নতুন করে স্প্যান জোড়া লাগানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। আগে জোড়া লাগানো স্প্যানগুলোর রঙের কাজ চলছে।