প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অভ্যন্তরীণ চলাচল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এর সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
এছাড়া, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সীমান্তে বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবারও নতুন করে ১১৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৪৬ জন।
এ বিষয়ে শুক্রবার মালয়েশিয়া সময় বিকেল চারটায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে এক ভাষণে বলেন, ‘এতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে যখন বলতে পারব, আমরা পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঞ্চমার্ক ১০ শতাংশ, সেখানে পরীক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা সংক্রণের হার সাত শতাংশে ধরে রেখে মালয়েশিয়া দারুণ কাজ করছে। আর এখানে মৃত্যুহারও বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম, মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। তারপরও করোনাভাইরাস সংক্রমণের পথ বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা খুবই জরুরি।’
এই নির্দেশনার ফলে দেশটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরও বাড়তে পারে। তবে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে হয়তো সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়া হতে পারে।
এদিকে মুভমেন্ট কন্ট্রোলের সময় বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ইতোমধ্যে খাদ্য সংকটে ভোগছেন তারা। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকলেও অনেকেই পাচ্ছেননা খাদ্য সহায়তা। কারণ মুভমেন্ট কন্ট্রোলের কারনে যাতায়াত করা বা খাদ্য সহায়তা দূরোহ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারন বাংলাদেশি কর্মীরা রয়েছেন অনাহারে।
সংকট উওরণে সে দেশের সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে খাদ্য সহায়তা বাড়াতে দূতাবাসের প্রতি অনুরুধ জানিয়েছেন সাধারন বাংলাদেশি কর্মীরা।