ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারে বাবার হাতে চার বছর বয়সী কন্যা সন্তান খুন হয়েছে। এছাড়াও পরে ১২ বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করলে ছেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং পরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় হত্যাকারী বিল্লাল হোসেনকে(৩৯) আটক করে পুলিশি হেফাজতে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে দেশটির তোসকানা অঞ্চলের আরেজ্জো প্রভিন্সের বুচিন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত করেছে পুলিশ।
সুত্র জানায়, বিল্লালের স্ত্রী সকালে জরুরী প্রয়োজনে বাজার করতে গেলে বিল্লাল হঠাৎ করে ছুরি দিয়ে প্রথমে তার ছোট মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে ছেলেকে হত্যাচেষ্টা চালালে দৌড়ে পালিয়ে যায় ছেলে। পরে নিজে আত্মহত্যা চেষ্টা করলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এছাড়াও জানা যায়, সকালে বাসার মধ্যে অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পেলে পুলিশে খবর দেয় ফ্ল্যাটের একটি পরিবার। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশে নিচে পানির ট্যাংকের মধ্যে ঝাঁপ দেয় বিল্লাল। পরে তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিসের একটি দল এসে বিল্লালকে জীবিত উদ্ধার করে।
বিল্লালের স্ত্রী জানায়, লকডাউনের জন্য কাজ না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত বাসায় ছিল বিল্লাল। কিন্তু কয়েকদিন যাবত বিল্লাল অনিদ্রায় ভুগছিল সে। মাঝেমাঝে ডাক্তার ডেকে ঘুমের জন্য চিকিৎসা নিত বিল্লাল।
এঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমরা দূতাবাস থেকে পরিবারটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
বিল্লাল দীর্ঘদিন যাবত ইতালির পালেরমো শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। পরে একবছর আগে তিনি পরিবার নিয়ে আরেজ্জো চলে যান। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনার বিষ্ণুপুরে।