logo
আপডেট : 16 May, 2020 22:36
৪দিনেই সুস্থ্য হবে করোনা রোগি: কেভিড-১৯ এর শতভাগ কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার করলো যুক্তরাষ্ট্র

৪দিনেই সুস্থ্য হবে করোনা রোগি: কেভিড-১৯ এর শতভাগ কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সোরেন্টো থেরাপিউটিকস

মেইল ডেস্ক:
শতভাগ কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওষুধ কোম্পানি। ভ্যাকসিন বা টিকা বাজারে আসার আগেই এই প্রতিষেধকের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয়ে যেতে পারে সারা বিশ্বে। 
বিশ্বজুড়ে করোনা বা কেভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ‘সোরেন্টো থেরাপিউটিকস’। করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে তারা। এই অ্যান্টিবডি ‘শতভাগ কার্যকর’ এবং রোগীকে মাত্র চারদিনেই করোনামুক্ত করবে।

শুক্রবারই (১৫ মে) সান দিয়োগোর কোম্পানি সোরেন্টো থেরাপিউটিকস আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেইনষ্ট্রিম সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সাথে এ খবর প্রকাশ করেছে।
মরণব্যাধী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য নির্ঘুম রাত কাটছে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের। তবে এখনও পর্যন্ত কেউই সুখবর দিতে পারছে না। বেশিরভাগ প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিনই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো কোম্পানী হিসেবে সোরেন্টো থেরাপিউটিকস এমন সুখবর দিলো।
কোম্পানীটির বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধকটি বিশেষ কোষে পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের জন্য সোরেন্টোকে প্রাণীদের মধ্যে করোনভাইরাস চিকিৎসার প্রতিষেধকটি পরীক্ষা করতে হবে। তারপরে, এটি মানুষের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য পরীক্ষা শুরু করার জন্য এফডিএর কাছে অনুমতি চাইতে হবে। শিগগির এসব পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে সোরেন্টোর পক্ষ থেকে।

সোরেন্টো থেরাপিউটিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা. হেনরি জি এ বিষয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করোনা থেকে আরোগ্যের উপায় এসেছে তা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই। এমন সমাধান এসেছে যা ১০০ ভাগ কার্যকর। এই অ্যান্টিবডি যদি আপনার শরীরে দেয়া হয়, তাহলে সামাজিক দূরত্বও আপনাকে বজায় রাখতে হবে না। আপনি নির্ভয়ে সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন।’

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সোয়া ৪৬ লাখ। মারা গেছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছেন প্রায় ৯০ হাজার।