ইউনিস খানের অধিনায়কত্ব হারানোর কথা মনে আছে? অধিনায়কত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাটকীয়ভাবে।
তিনি নিজেই জানালেন, এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই এ কিংবদন্তি ক্রিকেটারের। বরং নিজের দায়িত্ব শতভাগ পালন করতে পারায় খুশি ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে ইউনিস বলেন, ‘আপনাকে জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত পার করতে হবে যখন আপনার দুটি পথ খোলা থাকবে। এক, আপনি সত্য কথা বলবেন। দুই, আপনি দেখেও না দেখার ভান করবেন। আমি প্রথমটা করেছিলাম। আমি এমন কিছু খেলোয়াড় ও গ্রুপের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলাম যারা দেশের হয়ে খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতো না।’
‘কিন্তু পরবর্তীতে ওই খেলোয়াড়রাই আমার কাছে এসে নিজেদের ভুলগুলো স্বীকার করে। আমি জানি আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার বাবার থেকে একটি শিক্ষা পেয়েছি, জীবনে যত কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন সদা সত্য কথা বলবে এবং সর্বদা নম্র থাকার চেষ্টা করবে।’ - যোগ করেন ইউনিস খান।
৯২’র বিশ্বকাপে ইমরান খান জিতেছিলেন শিরোপা। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইউনিস খানের হাতে উঠে ট্রফি। মাঝের সময়টায় পাকিস্তানের ক্রিকেট এগিয়ে গেলেও বৈশ্বিক শিরোপা পাওয়া হয়নি। ৩৪ সেঞ্চুরিতে ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৫২.০৫ গড়ে ১০,০৯৯ রান করেছেন। নামের পাশে আছে ছয়টি ডাবল সেঞ্চুরিও। ছয়টি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদেরও।
দীর্ঘদিন পর ইউনিস জানালেন মিঁয়াদাদের ব্যাটিং-ই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা, ‘আমার খেলোয়াড়ী জীবনে আমি মিঁয়াদাদকে কোচ হিসেবে পেয়েছি। তিনি এমন একজন ব্যাটসম্যান যিনি বড় সেঞ্চুরির মাস্টার ছিলেন। আমাকে সব সময় বলতেন, সেঞ্চুরি পর আবার জিরো থেকে ব্যাটিং শুরু করতে হবে। ছেলেমানুষি মনে হতে পারে কিন্তু আমার মানসিক শক্তি বাড়াতে ওই কথা অনেক কাজে লেগেছিল।’