logo
আপডেট : 30 May, 2020 08:15
হোয়াইট হাউজ অবরূদ্ধ: পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাক্তি হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউজ অবরূদ্ধ: পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাক্তি হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা-ছবি সংগৃহিত

মেইল ডেস্ক:

পুলিশের হাতে নির্মমভাবে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে তালাবদ্ধ করা হয় হোয়াইট হাউজের সবগুলো গেইট। দীর্ঘসময় ধরে বিক্ষোভকারীরা চারপাশ থেকে অবরূদ্ধ করে রাখে হোয়াইটহাউজ। এঘটনায় আটলান্টা, টেক্সাস, নিউ ইয়র্ক ও মিনিয়াপোলিস প্রায় সবক’টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক শহরে বাড়তি নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।

মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যে গত ২৫মে সন্ধ্যায় সন্দেহভাজন একটি প্রতারণার ব্যাপারে কল পেয়ে পুলিশ ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে। তিনি স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন।

গ্রেফতারের পর ডেরেক চাউভিন নামের এক পুলিশ অফিসার রাস্তার উপর ফেলে হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় চেপে ধরে রাখে অনেক্ষন। পরে ওই ব্যক্তি মারা যায়। পুলিশী নির্যাতনের সেই ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

       নিহত জর্জ ফ্লয়েড (বাঁয়ে) এবং হত্যার দায়ে গ্রেফতার পুলিশ অফিসার ডেরেক চাউভিন-ছবি সংগৃহিত 

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় জর্জ ফ্লয়েড নি:শ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছেন, "আমি নি:শ্বাস নিতে পারছি না।" এঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বৃহষ্পতিবার মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন, গাড়ি এবং স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। শুক্রবার সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বাহিনী মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ বাহিনীরও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

 

হত্যার দায়ে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ অফিসার ডেরেক চাউভিন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে হোয়াইট হাউজের দিকে মিছিল করে যায়। কাছাকাছি পৌঁছালে সিক্রেট সার্ভিস অফিসাররা হোয়াইট হাউজের সবক’টি গেট বন্ধ করে দেয়। ব্রিফিংরুমের দরজা বন্ধ করে সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ করা হয়। সিক্রেট সার্ভিস অফিসাররা কাউকে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে বা বের হতে দেয়নি। কয়েকঘন্টা অবরূদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর সন্ধ্যা ৮.৪০ মিনিটে বিক্ষাভকারীরা হোয়াইট হাউস এলাকা ত্যাগ করে ক্যাপিটল হিলের দিকে চলে গেলে আবারো সব গেট খুলে দেয়া হয়।

মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করেছেন।