টানা তিন মাসপর মালয়েশিয়ার মসজিদগুলোতে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের সুলতান শরাফউদ্দিন ইদ্রিস শাহ এ আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১ জুলাই) সেলাঙ্গর সুলতানের দাতুক মোহামাদ মুনির বানির একান্ত সচিব স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলেছেন এই অনুমোদন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
সেলাঙ্গর রয়্যাল অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দৈনিক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে ৩ জুলাই শুক্রবার থেকে জুম”য়ার নামাজের মধ্যদিয়ে পাচঁ ওয়াক্তি নামাজ আদায়ে খোলে দেয়া হবে মসজিদ ও সূরাউগুলি।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিচালক, ধর্মীয় কাউন্সিল (এমএআইএস), মুফতি বিভাগ এবং ধর্মীয় বিভাগ (জেএআইএস) -এর কোভিড -১৯ সম্পর্কিত নতুন ঘটনা সম্পর্কে ব্রিফিংয়ের পরে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
সুলতানের একান্ত সচিব মোহামাদ মুনির সাংবাদিকদের বলেছেন, সুলতান আদেশ দিয়েছেন, রাজ্যের তিনটি মসজিদে যে কোনও এক সময় শুক্রবারের নামাজ ও পাচঁ ওয়াক্তি নামাজ আদায় করতে পারবেন তাদের সংখ্যা এক হাজারের বেশি হবে না।
মসজিদগুলি হলো, শাহ আলমের মসজিদ সুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ, বুকিট জেলুটংয়ের মসজিদ টেংকু আম্পুয়ানজেমাহ এবং সাইবারজায়া মসজিদ রাজা হাজী ফি সাবিলিল্লাহ। এ ছাড়া অন্যান্য সকল মসজিদে শুক্রবারের নামাজ ও ওয়াক্তি নামাজে উপস্থিতির সংখ্যা ৫০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
সুরাওয়ের ক্ষেত্রে, শুক্রবারের নামাজ ও ওয়াক্তি নামাজে উপস্থিতির সংখ্যা ৪০ জন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরোও বলা হয়েছে, জামাতে নামাজ আদায়কারি প্রত্যেকে জেএআইএসের নির্ধারিত এসওপি মেনে চলতে হবে, বিশেষত বাড়িতে ওযুকরে নেওয়া, নিজের নামাজের চাটাই সাথে নিয়ে আসা, মসজিদ ও সূরাতে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করা।
আর যারা সুস্থ নন, তাদের মসজিদ ও সূরাউয়ে মোটেই নামাজ আদায়ের অনুমতি নেই।
এ দিকে সেলাঙ্গর সুলতান হারি রায়া ঈদুল আদহায় পশু কোরবানি (ইবাদাহ কোরবান) কেবল মসজিদেই পরিচালনা করার আদেশ দিয়েছেন।
সুলতানের এ আদেশ বাস্তবায়ন ও প্রশাসনিক বিষয় জেএআইএসের পরিচালক, মসজিদ এবং সূরাউ সম্পর্কিত কমিটি দ্বারা জারি করা হবে বলে একান্ত সচিব মোহাম্মদ মুনির জানিয়েছেন।