স্বপ্না চক্রবর্তী, ঢাকা:
মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসা, করোনা টেস্টে জালিয়াতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্তে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ টিম নিয়োগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫৬ টি প্রতারণা মামলার এ আসামীকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর সংস্থাটি।
মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিউইয়র্ক মেইলকে বলেন, মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি রিজেন্ট হাসপাতালের নামে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ পাশাপাশি করোনা টেস্ট নিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়টি আমলে নিয়েছি আমরা।
এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ নানা উৎস থেকে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সংগ্রহ করে জানিয়ে প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এসব তথ্য-উপাত্তসংবলিত অভিযোগগুলো কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে।
জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম এ কাজ পরিচালনা করবে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
রিজেন্ট হাসপাতালের মাধ্যমে করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার ঘটনা ফাঁস হলে সাহেদ আত্মগোপনে চলে যান। তবে ধারণা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতেই রয়েছেন তিনি। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন বহুল আলোচিত এই প্রতারক।