বিশেষ প্রতিনিধি, নিউ ইয়র্ক:
নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিনমাস বাকী। কৌশলের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে কৌশলের যুদ্ধে জয়ি হতে মরিয়া দুই শিবিরই। জরিপ নিয়ে একেরপর এক দু:সংবাদ আসলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিনদিন তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত নির্বাচনের মতো এবারও নতুন কোনো চমক দেখাতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন জরিপে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন সিএনএন। শেষ জরিপের এই ফলাফল ট্রাম্পের কপালে ভাঁজ ফেললেও তার ভাব দেখে সেটা বোঝার উপাই নেই। তবে হঠাৎ করে তার প্রচার শিবিরের ম্যানেজারকে কৌশলে সরিয়ে দিয়ে নতুন ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছেন।
দেশজুড়ে কুয়িনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী তালিকাভুক্ত ভোটারদের মধ্যে ৫২ শতাংশ বাইডেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোটার।
এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ১৮ জুনের জরিপের ফলাফলে ট্রাম্পের অবস্থান এর চেয়ে ভালো ছিল। সেখানে ট্রাম্পের পক্ষে ৪১ শতাংশ এবং বাইডেনের পক্ষে ৪৯ শতাংশ ভোটার সমর্থন জানিয়েছিল। এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য আট পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৫ পয়েন্টে পৌঁছে গেছে।
এর আগের বেশ কয়েকটি জরিপের ফলাফলেও দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অদক্ষতা, কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক ফ্লয়েড হত্যা, দেশব্যাপি আন্দোলন এবং বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে ট্রাম্পের ভোট ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে জনমত জরিপের ফলাফল নিয়ে ট্রাম্প শিবিরে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে ডেমোক্রাট শিবির নতুন নতুন কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত। জরিপে এগিয়ে থাকার সাফল্যে গা না ভাসিয়ে বাইডেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের ব্যাক্তিগত দুর্নাম আর রাজনৈতিক ভুলকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন সাবেক সফল এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। দেশি-বিদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জো বাইডেনের জয়ের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।