যশোরের অভয়নগরে হারিয়ে যাওয়া মা পিংকি বকসীকে (ভারসাম্যহীন অবস্থায়) ১৮ বছর পর খুঁজে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সন্তানেরা। দীর্ঘ ১৮ বছর পর হারানো মাকে পেয়ে আনন্দের বন্যা বইছে ওই পরিবারে।
অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের চৈতন্য বকসীর স্ত্রী পিংকি বকসী (৬৫) গত ২০০২ সালে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। তারপর দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান মেলানো যায়নি।
পরিবারের লোকেরা ধরেই নিয়েছিল, হয়তবা তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই শনিবার বিকালে মনিরামপুর উপজেলার চিনেটোলা বাজারে তাকে পাওয়া যায়।
রোববার দুপুরে পিংকি বকসীর বড় ছেলে নিখিল বকসী জানান, ২০০২ সালে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তার মা পিংকি বকসী বাড়ি থেকে বের হয়ে হারিয়ে যান। তার মাকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে তাদের ধর্মানুযায়ী ১২ বছর পর তার স্মরণে শ্রাদ্ধের কাজও সম্পন্ন করা হয়। তারা ভেবেই নিয়েছিলেন তাদের মা আর বেঁচে নেই।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে মনিরামপুর উপজেলার চিনেটোলা বাজার এলাকায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা মহিলার জ্ঞান ফেরার পর তার বাড়ির কথা জানতে চাইলে তিনি (পিংকি বকসী) অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের কথা বললে স্থানীয়রা মাগুরা গ্রামে এ খবর পৌঁছে দেন।
খবর পেয়ে কৌতুহলবশত পিংকি বকসীর বড় ছেলে নিখিল বকসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মায়ের দেখা পান। দীর্ঘ ১৮ বছর পর হারানো মাকে ফিরে পেয়ে আত্মহারা হয়ে ওঠেন তিনি। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাগুরা গ্রামে হারানো পিংকি বকসীকে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমে।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন জানান, হারিয়ে যাওয়া পিংকি বকসীকে ১৮ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমিও তাকে দেখে এসেছি।