আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে এবার কোভিডের দূরত্বের শর্তাবলি মেনে বসছে কোরবানীর পশুর হাট। ন্যূনতম পাঁচ ফুট দূরত্ব থাকছে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে। এই উদ্যোগ সারা দেশের ন্যায় সিলেটের কোরবানী পশুর হাটেও।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে যেসব পরামর্শ ও শর্ত দিয়েছে সেগুলো হলো- হাটের জন্য খোলা জায়গা নির্বাচন, হাট বসানোর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী যেমন মাস্ক , সাবানসহ জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী পর্যাপ্ত রাখা, পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখা, পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মচারী ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া, জবাব দিহিতা নিশ্চিত করা, হাটের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির প্রশিক্ষণ প্রদান দেওয়া ছাড়াও জীবাণুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে বোঝানো। এছাড়া হাট কমিটির সকল কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কেউ অসুস্থ হলে দ্রুততম সময়ে মধ্যে তার চিকিৎসার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গণশৌচাগারগুলোতে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল সাবান, সাধারণ সাবান এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করানো।
পশুর হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাম-দর ও হাট থেকে বের হওয়ার সময় সারিবন্ধ হয়ে দূরত্ব বজায় রাখার পর্যাপ্ত পরিমানের জায়গা রাখতে হবে। যাতে করোনাকালে সংক্রমণ যেন বৃদ্ধি না পায়।
তবে সাধারণ মানুষ পশুর হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু ক্রয় করলে প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ হ্রাস পাবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক ড. মোশতাক হোসেন।
তিনি বলেন, এই করোবানী ঈদের পশুর হাটে কোভিডের সংক্রমণ উচ্চ হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই যত সম্ভব সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে চলতে হবে এবং মানুষকে কোরবানীর পশু কিনতে অনলাইনে কেনাকাটার উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সিলেটের কাজীরবাজার পশুর হাটে ব্যবস্থাপক শাহ দাত হোসেন লোলন প্রতিবেদকে বলেন, কোরবানী ঈদে কোনভাবে অনলাইনে বিকিকিনি করা যায় না। কেননা অনলাইনে ক্রেতারা তাদের চাহিদা মাফিক পশু ক্রয় করতে সক্ষম হয় না। যার দরুণ সিলেটে পশুর হাটে ক্রেতাদের অবশ্যই আগমণ ঘটবে। তাই আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সকল বিধি নিষেধ মেনে পশু হাট বসাবো। এজন্য প্রতিটি পশুকে ৫ ফুট দ্রুত রেখে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশুর হাট বসানো হবে।