logo
আপডেট : 29 September, 2020 19:10
এথেন্সের দর্পন ‌'দ্য অ্যাক্রোপলিস' সাজতে যাচ্ছে নতুন রূপে
এস এম মাঈনুল ইসলাম সোহেল, ইউরোপ

এথেন্সের দর্পন ‌'দ্য অ্যাক্রোপলিস' সাজতে যাচ্ছে নতুন রূপে

লন্ডনের দর্পন যেমন টাওয়ার ক্লক, রোমে কলোসিয়াম, প্যারিসে যেমন আইফেল টাওয়ার তেমনই গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের একেবারে দর্পন বলা চলে দ্য অ্যাক্রোপলিস’কে। ঐতিহাসিক এই স্থানকে ঘিরে নতুনভাবে পর্যটনের পরিকল্পনা করছে গ্রিস। এ জন্য হাতে নেয়া হয়েছে একগুচ্ছ প্রকল্প। 

গ্রীক রাষ্ট্রপতি ক্যাটেরিনা সাকেল্লারাপোলোউ, প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী লিনা মেন্ডোনি এবং ওনাসিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি আন্তোনিস এস পাপাদিমিট্রিউর বুধবার বিখ্যাত অ্যাক্রোপলিসের নতুন কিছু চিত্তাকর্ষক পরিবর্তন উদঘাটন করবেন।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বুকে এই অ্যাক্রোপলিস ঠিক কে কবে নির্মাণ করেছে তা জানা যায়নি। তবে এটা যে অত্যন্ত প্রাচীণ এবং পবিত্র স্থান ছিল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা চলে না। এখানে আপনি পাবেন দেবী এথেনা, পার্থেনিয়ন, এরেথনিয়ন এর মন্দির… এছাড়াও দেখার মত আছে আরো অনেক স্থাপনাই।

অলিম্পাস পর্বতের উপর বাস করা দেবতারা মাটির পৃথিবীতে ঠিক কতটা সম্মানিত ছিলেন, প্রাচীণ গ্রিসের ধর্মবিশ্বাস কতটা শক্ত ছিল তা বুঝতে পারবেন অ্যাক্রোপলিসের ভেতরকার বিভিন্ন মন্দিরের মাধ্যমে। দ্য অ্যাক্রোপলিসের আরেক বড় আবেদন এই স্থাপত্য নিয়ে। পশ্চিম ইউরোপের রোমান ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে পূর্ব ইউরোপে একেবারেই অন্যরকম এক স্থাপনা গড়ে তোলে প্রাচীন গ্রিসের অধিবাসীরা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যা অগণিত স্থাপত্যবিদের জন্য প্রেরণা হয়ে আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থাপত্যশৈলীতে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে এর সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে। 

গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ওনাসিস ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদান ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অ্যাক্রোপলিসের দেওয়া অবকাঠামো ও পরিষেবাগুলিকে সামগ্রিকভাবে উন্নীত করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত এই ধারাবাহিক প্রকল্পের মধ্যে এটি প্রথম।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৮টায় (স্থানীয় সময়) এর সরাসরি স্ট্রিমিং দেখা যাবে। অ্যাক্রোপলিসের নতুন আলো সরাসরি উপস্থাপন করা হবে এবং গ্রীক সরকারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের  ডিজিটাল সংস্কৃতি ওয়েবসাইট , ওনাসিস ফাউন্ডেশনের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এবং গ্রীক টিভি  ইআরটি 1-তে সরাসরি সম্প্রচারিত দেখা যাবে।

এ বিষয়ে গ্রিসের সংস্কৃতিমন্ত্রী লিনা মেনডোনি বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের মূল উদ্বেগ ছিল অ্যাথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে প্রদত্ত অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলোকে উন্নিত করা। আমাদের শীর্ষস্থানীয় স্মৃতিস্তম্ভ অ্যাক্রোপলিসের চিত্রটি প্রতিচ্ছবিটি প্রতিবিম্বিত করে এবং দেশের চিত্র প্রকাশ করে।