logo
আপডেট : 5 October, 2020 01:47
বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে আদালতের ৬ নির্দেশনা
ঢাকা অফিস

বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে আদালতের ৬ নির্দেশনা

প্রতীকী ছবি

বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী নিয়োগে ৬ বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ অক্টোবর) ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলার রায়ে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক ওই নির্দেশনা দেয়া হয়।

৬ দফা নির্দেশনাগুলো হলো-
১. গৃহকর্মী নিয়োগের তারিখ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত তাকে সতর্কভাবে পযর্বেক্ষণ করতে হবে, যাতে তারা বাসার মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতে না পারে। গৃহকর্মী কোনও অন্যায় কাজ করলে তাকে কোনও প্রকার আঘাত বা মারধর না করে সংশ্লিষ্ট থানা বা সমাজসেবা অফিসারকে এ বিষয়ে অবগত কর।
২. গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিস্তারিত তথ্য রাখা উচিত। গৃহকর্মীর জীবন বৃত্তান্ত ও ছবি রাখতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
৩. বাসার মূল প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা না থাকলে অবিলম্বে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. গৃহকর্মী যদি অন্য কোনও গৃহকর্মীকে কোনও বাসায় কাজ দেয়, তাহলে তার নাম ঠিকানাও সংশ্লিষ্ট থানায় সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে কোম্পানির কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত করতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে সেই কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং তার কোনো সেবা গ্রহণ করা যাবে না।
৬. গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই তাদের নিবন্ধিত গৃহকর্মীদের ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত থানায় জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, আড়াই বছর আগে ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার ঘটনায় তার বাসার দুই গৃহকর্মী রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না ও রেশমা আক্তার ওরফে রুমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

হত্যার দায়ে দুই আসামিকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি চুরির জন্য তাদের দুজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে রায়ে। তবে ফাঁসির রায় কার্যকর হয়ে গেলে কারাদণ্ড আর প্রযোজ্য হবে না।

রায়ের পযর্বেক্ষণে বিচারক বলেন, ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার ঘটনাটি ‘নিমর্ম, জঘন্য, পৈশাচিক, নৃশংস, বর্বরোচিত ও চাঞ্চল্যকর’ হত্যাকাণ্ড।

“দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েই এ ধরনের অপরাধ প্রতিহত করা সম্ভব। এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ মামলার আসামিরা কোনোভাবেই অনুকম্পা পেতে পারে না।”