যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ে একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে কাতার।
এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে বিষয়টির সত্যতা জানা গেছে।
তবে এই চুক্তি কার্যকর করা হলে সৌদি আরব ও ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লকহিড মার্টিন কোম্পানির জেট কিনতে পারস্য উপসাগরীয় দেশটি আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, নীতিগতভাবে, প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রি ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে জানানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র কোনো মন্তব্য কিংবা নিশ্চিত করে না।
আর ওয়াশিংটনে কাতারের দূতাবাস থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে প্রতিরোধ করতে কাতারসহ বিভিন্ন মিত্র দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সামরিক স্থাপনা কাতারে। সেখানে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আট হাজার সেনা ও বেসামরিক কর্মী রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে রয়টার্স বলছে, অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে কাতারের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বারবার সামনে চলে এসেছে। কাজেই অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে এটি চুক্তিভঙ্গকারীর ভূমিকা রাখতে পারে।
একটি সূত্র বলছে, যুদ্ধবিমানের জন্য কাতারের উদ্যোগ এই প্রথম কোনো বৈদেশিক সামরিক অস্ত্র বিক্রয় আইনি প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। তবে এর সঙ্গে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। গত সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেন মাইক পম্পেও। এতে কাতারকে একটি বড় নন-ন্যাটো মিত্র হিসাবে ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।