লাদাখ থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরি করছে ভারত। লাদাখ ও কাশ্মীর পর্যন্ত সামরিক যান ও সাধারণ মানুষের চলাফেরার জন্য ১০টি টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য একশ’ কিলোমিটার।
সীমান্ত এলাকায় ভারতের দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের বিরক্তির পরও এই টানেল নির্মাণে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ভারতের কর্মকর্তারা। এসব টানেলের কিছু সমুদ্রতট থেকে ১৭ হাজার ফিট উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে।
ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে তিনটি অঞ্চলে পরিণত করার পর সেখানে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নেয়।
এছাড়া চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে বিরোধ ও সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যের প্রাণহানির পর সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হয়।
এরই অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে একশ’ কিলোমিটার দীর্ঘ ১০টি টানেল। এতে করে দ্রুত সামরিক যোগাযোগ, যে কোনো লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রসদ সরবরাহসহ সীমান্ত সমস্যায় সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদারের পাশাপাশি জরাজীর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমানও এতে উন্নত হবে।
৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আতাল টানেল উদ্বোধন করেন। এতে করে হিমাচলপ্রদেশের মিনালি ও লাদাখের লেহ-এর মধ্যকার দূরত্ব কমে আসে। একই পাহাড়ি অঞ্চলে ১২ মাস যোগাযোগের সুযোগও তৈরি হয়।
আগে দুর্গম এলাকাগুলোতে মৌসুমি বিভিন্ন সমস্যার কারণে সব সময় যোগাযোগ অব্যাহত রাখা সম্ভব হতো না। চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধী ছাড়াও কাশ্মির এলাকায় পাকিস্তান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে থাকে। সেটি মোকাবেলার জন্য দুর্গম পার্বত্য সীমান্তগুলোতে উন্নত অবকাঠামোর দরকার।
পাশাপাশি মাদক ও বিভিন্ন চোরাচালান ইস্যু তো আছেই। টানেল বানিয়ে সবগুলো সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে।