প্রত্যেকে মাস্ক পরলে ও স্বাস্থ্যবিধি মানলে লকডাউন এড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অফিস।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ এক সংবাদ সংম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, লকডাউন শেষ সম্বল হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। এ সময় তিনি জনসাধারণকে নীতিমালা মেনে মৃত্যু কমাতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ৬০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছে, যদি ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরে তাহলে লকডাউন এড়ানো সম্ভব। যদি আমরা আমাদের সবকিছু শেয়ার করতে পারি তাহলে লকডাউন এড়ানো সম্ভব।
করোনার কারণে এখনও লাখ লাখ মানুষ লকডাউনের মধ্যে থাকছে। এর কারণে তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়ছে। তাছাড়া লকডাউনের কারণে অনেকে চাকরি হারানোর পাশাপাশি বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া ছাড়াও দীর্ঘ দিন ঘরে থাকায় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনাও বাড়ছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হ্যানস ক্লুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, করোনা বিধিনিষেধ খুব দ্রুত শিথিল করা হয়ে গেলে তার নেতিবাচক প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তিনি বলেন, এসব বিধিনিষেধ শিথিল করা যেতে পারে কেবল ধাপে ধাপে।
ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে বর্তমানে অতিমাত্রায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। বুধবার ইতালিতে ৭৫৩ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।পোল্যান্ডে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার ৬৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্লুজ বলেন, শেষ সপ্তাহে এই অঞ্চলে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজনের প্রাণহানি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে করোনায় ইউরোপে ১৮ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৪ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।