বিশেষ প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক:
অনেক জল ঘোলা করে নির্বাচনের ২০দিন পর অবশেষে পরাজয় স্বীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক আদালতের রায় বিপক্ষে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হয়েছেন তিনি। সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনের অন্তর্বর্তী টিম কাজ শুরু করেছে। বাইডেন আনুষ্ঠাকিভাবে কয়েকজন মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেছেন।
এর আগে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ফেডারেল এজেন্সিকে নির্দেশ দেন। তবে সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের নির্দেশের আগেই জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে বাইডেন টিমকে চিঠি পাঠায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটে বলা হয়, জিএসএ বাইডেন শিবিরকে জানিয়েছে তারা কাজ শুরু করেছে। জিএসএ প্রশাসক এমিলি মারফে এবং তাঁর টিম কাজ শুরু করতে পারে জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, আমি এমিলি এবং আমার টিমকে একইভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজ শুরুর পরামর্শ দিয়েছি।’
এদিকে, জো বাইডেন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে এরই মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার ৬সদস্যকে পরিচয় করে দেন।
৩নভেম্বর নির্বাচনের দিন থেকেই নিজেকে এক প্রকার জোর করেই বিজয়ী ঘোষনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে যাওয়ায় কয়েকটি রাজ্যের ফলাফলকে প্রত্যাখান করে মামলাও করে ট্রাম্প শিবির। সবক’টি আদালতেই পরাজয় হয় ট্রাম্পের। এমনকি তাকে বিচারকের ভৎসনাও শুনতে হয়। নির্বাচনের ২০দিন পর তিনি পরাজয় স্বীকার করেন এমন এক সময় যখন তার চারপাশে কেউই নেই।
পরিবার, নিজের দল রিপাবলিকান নেতা, ব্যবসায়ী নেতা ও সিনেটরদের চাপের মুখে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি টুইটও করেছেন ট্রাম্প। তবে এর মধ্যেও তিনি ‘কিন্তু’ লুকিয়ে রেখেছেন। কারণ, ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্মতি দিলেও তিনি নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেননি। জো বাইডেনকে এখনও বিজয়ী হিসেবে মেনে নেননি। ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হলেও ভোটের ফল নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন।