ভারতের সংবিধানে স্বায়ত্বশাসন সম্পর্কিত ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
জম্মু ও কাশ্মীর ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের পাশাপাশি ১২ হাজার ১৫৩টি পঞ্চায়েত আসনেও ভোট হচ্ছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শনিবার সকাল ৭টায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার গড়ে ৩৯.৬ শতাংশ। শেষ দফার ভোট না হওয়া পর্যন্ত এগজিট পোলের ফলাফল ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (ডিডিসি) আট দফার নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মীরের মোট ২৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর। ফলপ্রকাশ ২২ ডিসেম্বর।
প্রথম দফায় মোট ৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ২৫টি কাশ্মীরে এবং ১৮টি জম্মুতে। মোট সাত লাখ বৈধ ভোটার ছিল আসনগুলোতে। খবর জি নিউজ ও ইকোনোমিক টাইমসের।
৩৭০ ধারা অর্থাৎ বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম কোনো নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। স্বাভাবিকভাবেই উপত্যকা তথা জম্মুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত ১৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কাশ্মীরেও বাড়ানো হয়েছে নিয়মিত তল্লাশি। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না প্রশাসন। কারণ এই নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি কী, কাশ্মীরবাসী কী চাইছে, সবটাই স্পষ্ট হবে ভোটের পর।
এই ডিডিসি নির্বাচনে মূল লড়াই পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন ছোট রাজনৈতিক দলের জোট অর্থাৎ গুপকার জোটের বিরুদ্ধে বিজেপির।
কংগ্রেস প্রথমে নিজেদের গুপকার জোটের অংশ হিসেবে ঘোষণা করলেও, জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার জন্য পরে পিছিয়ে এসেছে।
গুপকার জোটের অন্যতম নেত্রী মেহেবুবা মুফতি দাবি করেছেন, ভোটের আগে তাদের প্রার্থীদের সঠিকভাবে প্রচার করতে দেয়া হয়নি। যদিও নির্বাচন কমিশন সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।