বিজ্ঞানী হত্যার ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধের হুমকির মধ্যেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজকে পারস্য উপসাগরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর বাহরাইনভিত্তিক পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রিব্যারিচ এক বিবৃতিতে জানান, নিমিটজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের ফিরে আসার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির ভূমিকা নেই।
আমেরিকার এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের অর্থ হবে ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে যেসব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে তাদেরকে কমব্যাট সাপোর্ট এবং এয়ার কভার দেয়া।
আগামী ১৫ জানুয়ারির আগে আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে চায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের পদার্থবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ শুক্রবার অতর্কিত হামলায় নিহত হওয়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে মার্কিন ওই কর্মকর্তা মনে করেন, আমেরিকার এ ধরনের পদক্ষেপ ইরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দেবে।
ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও গবেষককে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়। এই বিশেষজ্ঞকে হত্যার ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান।
অবশ্য ইসরাইল হত্যার কথা অস্বীকার করছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ারও অঙ্গীকার করেছে ইরান।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইরানবিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহের নাম বার বার উল্লেখ করেছিলেন।
সে সময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন- স্মরণ রাখবেন নামটি হচ্ছে ফাখরিজাদেহ। তিনি ইরানের একজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী ছিলেন। তাকে ইরানি বোমার জনক বলা হতো।