কোয়ারেন্টাইন শেষে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুসন্ধানী দল। চীনের উহানের বাজারে এবং লেবরেটরিতে একই সঙ্গে কাজ চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালে উহানের যে বাজারটি থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হয়, সেখানেই শুরু হয়েছে অনুসন্ধান কাজ। এর আগে তারা দুই সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
বিজ্ঞানীরা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং সামুদ্রিক বাজারের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সংযুক্ত লোকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করবেন। তাদের গবেষণাটি চীনা কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রমাণের উপর নির্ভর করবে। ডাব্লুএইচও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েক মাস আলোচনার পরে এটি শুরু হল।
চীনে কভিড -১৯ এর শিকার হওয়াদের কিছু আত্মীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করার প্রত্যাশা করছেন। ফেব্রুয়ারিতে বাবা মারা গিয়েছিল উহানের স্থানীয় ঝাং হাইয়েরঅ তিনি বিবিসিকে বলেন, তিনি আশা করছেন যে ডব্লুএইচও'র সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের তদন্তে সহায়তা করতে পারবেন।
তদন্ত দলটি হুয়ানান বাজার ও উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শন করে। তারা করোনাভাইরাস বাদুড় থেকে এসেছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখবে। চীনের ইউনান প্রদেশের একটি গুহা থেকে সার্স ভাইরাস আবিষ্কার করা হয়েছিল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে, কারো দোষ উদ্ঘাটনের জন্য নয়, তদন্তের কাজটা চালানো হচ্ছে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস কীভাবে প্রবেশ করল, তা বোঝার চেষ্টা করার জন্য। একই সঙ্গে ভাইরাস নির্মূল করার বিষয়েও জানার চেষ্টা করা হবে। সংস্থাটি বলেছে, মহামারিটির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা যেমন করা হচ্ছে, তেমনি ভবিষ্যতে সার্স-কভিড ধরনের নতুন ভাইরাস দমনের বিষয়েও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা যাবে।
গত বছর জুড়ে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর অল্প সময়ের মধ্যেই তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পর্যন্ত মারা গেছে ২ কোটির বেশি মানুষ। লকডাউনের কারণে ধ্বংস হয়েছে অনেক দেশের অর্থনীতি। আর এটা নিয়ে রাজনীতি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভাইরাসের জন্য চীনকে দায়ী করে মুহুর্মুহু হুমকি দিয়েছেন। ওদিকে চীনের কম্যুনিস্ট সরকার ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বারবার বলেছে, ভাইরাসটি চীনের বাইরে থেকেও আসতে পারে।