উন্নত জীবনের আশায় সবাই উন্নত দেশে পাড়ি জমাতে চান। কিন্তু পরিসংখ্যান তেমন ভালো ফলাফল দিচ্ছে না। কেননা ইউরোপে অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যতার মধ্যে রয়েছেন।
বর্তমান করোনা মহামারি একটি নতুন পরিস্থিতি। তাই বর্তমান পরিস্থিতির তথ্য-উপাত্ত দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থার তুলনা করা সম্ভব না। তবে ২০১৯ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশের গড় হিসাবে প্রতিটি দেশে বসবাসরত জনগণকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে এ দারিদ্র্যতার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন নির্দিষ্ট দেশে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ২০ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ২৬ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের বসবাসকারীদের ৪৫ শতাংশ দারিদ্র্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
ইইউর বাইরে দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে- সুইডেন এবং গ্রিসে ৫৭ শতাংশ, ফ্রান্স এবং স্পেনে ৫৪ শতাংশ, পর্তুগালে প্রায় ৩২ শতাংশ। তবে দারিদ্র্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে চেক রিপাবলিক। তাদের স্থানীয় জনগণের চেয়েও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরের দেশের অভিবাসীরা ভালো অবস্থানে রয়েছেন; যদিও তাদের তিনটি জনগণের ক্যাটাগরি অর্থাৎ স্থানীয় ১২.৫ শতাংশ, ইইউ নাগরিক প্রায় ৯ শতাংশ (কমবেশি) এবং ইইউর বাইরের অভিবাসীরা প্রায় ১০ শতাংশ (কমবেশি) একেবারে কাছাকাছি অবস্থানে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানাভাবে অভিবাসীদের সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই দারিদ্র্য যুগ থেকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করছেন; তবে ভাষা অভিবাসীদের কর্মক্ষমতা, দেশীয় ঐতিহ্য এক্ষেত্রে অনেকটাই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।