মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমনে দিন দিন খড়গহস্ত হচ্ছে জান্তা বাহিনী। রোববার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বড় বড় নগরীতে রাস্তায় সাঁজোয়া যান টহল দিতে শুরু করেছে।
বিক্ষোভের নবম দিনে রোববার উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে গুলি চালিয়েছে সেনাবাহিনী। কাচিন রাজ্যের মিতকিনা শহরে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। সেখানে পাঁচজন সাংবাদিককে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
এই অবস্থা দেখে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনী ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে।
মিয়ানমার–বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, জান্তা সরকার বেপরোয়া আচরণ করছে। এ জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোববার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে– বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। বৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
সোমবার ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা বিক্ষোভ দমনে তৎপর। বিক্ষোভকারীরা টান ১০ দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
এদিকে মিয়ানমারের এনএলডি নেত্রী অং সান সু চিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অর্থাৎ সু চির আটকাদেশ বাড়ছে।