মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইয়ের সরকারের মধ্যে আলোচনা চায় আসিয়ান।
আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এই সংগঠন।
বিষয়টি নিয়ে জান্তা সরকারের সঙ্গে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শিগগিরই একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবং সেখানে রাজনীতিতে যে উত্তাল পরিস্থিতি তা মোকাবিলার জন্য একটি চ্যানেল খুঁজতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে আসিয়ান নেতারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই বৈঠকে সামরিক জান্তার একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিল। পরে জোটের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মার্সুদি।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ান মিয়ামারে চলমান সংহিসতায় গভীর উদ্বিগ্ন। নিহত এবং আহতদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।
সোমবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়েন বালাকৃষ্ণান জানিয়েছিলেন, আলোচনায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা খোলামেলা কথা বলবেন। ভিডিওকলের মাধ্যমে এই আলোচনা হবে।
এক সাক্ষাৎকারে বালাকৃষ্ণান আরও বলেন, বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি ও সামরিক জান্তার মধ্যে আলোচনাকে উৎসাহিত করবে আসিয়ান।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়-সেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আছেন। অন্যদিকে সামরিক নেতৃত্ব আছেন। তাদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তাদেরকে এক করে দিতে আমাদের সাহায্য করা উচিত।
কিন্তু আসিয়ানের এমন উদ্যোগে ক্ষুব্ধ অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনকারী গ্রুপগুলো। ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের একটি গ্রুপতো সামরিক জান্তাকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপ বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘে এই কমিটি নিযুক্ত দূত সা সা বলেছেন, সেনাবাহিনী নেতৃত্বাধীন এই অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় যাওয়া মোটেও উচিত হবে না আসিয়ানের।
উল্লেখ্য, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং ভিয়েতনাম।