logo
আপডেট : 23 March, 2021 01:23
আমিরাতের মধ্যস্থতায় পাক-ভারত সম্পর্কে নতুন মোড়
অন্যদেশ রিপোর্ট

আমিরাতের মধ্যস্থতায় পাক-ভারত সম্পর্কে নতুন মোড়

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে ঘিরে কৌতূহল রয়েছে বিশ্বজুড়েই। দীর্ঘদিনের বিদ্যমান টানাপোড়েনের সম্পর্কে বিভিন্ন উন্নতিও দেখা গেছে। 

গত বৃহস্পতিবার পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার রশীদ বাজওয়া যখন ইসলামাবাদে নিরাপত্তা সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে অতীতের বিরোধকে কবর দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনের কথা বললেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাশ্মীর সংকট সমাধানের কথা বললেন-স্বভাবতই তা অনেকের নজর কেড়েছে। 

জেনারেল বাজওয়াই শুধু নয়, তার আগের দিন ওই একই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতের সঙ্গে তার দেশের শান্তি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক শান্তি থাকলেই ভারত মধ্য এশিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী খান এবং সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার কথা অনেকটাই প্রতিধ্বনিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশীও। 

মাসখানেক আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক পাক-ভারত শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে উঠে এসেছে। 

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কিছুটা আশ্চর্যজনকভাবেই ঘোষণা করেন, ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন চুক্তিকে মেনে চলবে দুই দেশ। 

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘোষণার পিছনে কাজ করেছে আমিরশাহির মধ্যস্থতা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক দিনের ঝটিকা সফরে নয়াদিল্লি এসেছিলেন আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার বৈঠকে পাক-ভারত শান্তি আলোচনা নিয়েই কথা হয় বলে জানা গেছে। 

যদিও আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি বিবৃতিতে বলেছিল, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দু’দেশের যৌথ স্বার্থ রয়েছে, এমন সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। 

আর আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার খবর সামনে আসার পর মনে করা হচ্ছে, জায়েদের ওই বিবৃতির মধ্যেই পাকিস্তান নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত ছিল।

এ নিয়ে ভারত, পাকিস্তান বা আমিরাত- কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু স্বীকার করেনি। তবে বৈঠক সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি (ভারত-পাক) ভারতীয় উপমহাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রথম ধাপ মাত্র। 

২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সঙ্ঘাতের আবহে দুই দেশই রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে আনে। এখনও ইসলামাবাদে ভারতীয় বা নয়াদিল্লিতে পাক কূটনীতিবিদ কেউ নেই। 

আমিরাতের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই কূটনীতিকদের ফের দুই দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।