এলাকাবাসীর স্বার্থে নিজভূমিতে স্কুল ও মসজিদ নির্মাণ করেও টিলা কাটার অভিযোগে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে কিছু হাইব্রিড নেতা আর কুচক্রি মহলের ইন্ধনে পরিবেশ অধিদপ্তর হয়রানীমূলক এই নোটিশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার ৩নং ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদ ইসলামনগরে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। নিজের খরিদা সম্পত্তি থেকে ২০১৮ সালে টিলা রকম ভূমির পাশে সমতল ভূমিতে ‘সৈয়দ সাজিদ পিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে একটি বিদ্যাপীঠ ও শাহজালাল শাহপরান নামে এলাকাবাসীর জন্য একটি মসজিদও নির্মাণ করেছি। শুরু থেকে এখনো বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন ভাতা নিজে প্রদান করে যাচ্ছি।
তিনি জানান, গত ২০১৯ সনে অতি বৃষ্টির জন্য স্কুলের দক্ষিণ পাশে টিলা রকম ভূমি ধ্বসে বিদ্যাপীঠ ও মসজিদের পাকা প্রাচীরের উপর আঁচড়ে পড়ে। এতে ঐ নির্মাণকৃত প্রাচীর একটু ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং নিজে ওই পাকা প্রাচীরগুলো সংস্কার করি। ধারণা ও ক্ষোভ থেকে ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল বলেন, অতিবৃষ্টিতে টিলা ধ্বসকে কাজে লাগিয়ে রাতের আধারে একটি চক্র কোঁদাল দিয়ে মাটি কাটার চিহ্ন তৈরী করেন। এরপর তারা ধ্বসে পড়া ভূমিকে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অপপ্রচার করেন।
তিনি বলেন, এই অপপ্রচারকে সত্য বলে মনে করে মাটি কাটা ও বিক্রির অভিযোগে গেল ১ এপ্রিল সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর আমাকে একটি মামলা দেখিয়ে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন। আগামী রোববার এই নিয়ে শুনানীর কথাও রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী কিছু নের্তাকর্মী এমন কাজটি করেছেন। তারা উন্নয়ন চায়না। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে তারা এসব করে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে কাজে লাগিয়ে ওই চক্রটি ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। অথচ মসজিদ ও স্কুলের পাশে আমার আর কোনো জায়গা নেই। সেখানে মাটি কাটার কোনো সুযোগও নেই। তাই কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বিষয়টি সুষ্টু তদন্তের দাবি জানান তিনি।
সিলেট/ অমিতা সিনহা/ এইচএম