বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। দু”দেশের সম্পর্কোন্নয়নের দৃঢ়তায় ২০২২ সালে উদযাপন করা হবে ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।
শনিবার (৮ মে) মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার অ্যাষ্ট্রো আওয়ানি টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আওয়ানি গ্লোবাল’ অনুষ্টানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। রিজাল জুলকিপলির উপস্থাপনায় ‘আওয়ানি গ্লোবাল’ অনুষ্ঠানে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ'কে স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া। এ স্বীকৃতির ধারা বাহিকতায় ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে বলেও সাক্ষাতকারে জানান দিলেন হাইকমিশনার।
এ সময় বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা চলমান কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বর্তমানে এটি মোকাবেলা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’।
২৬ মিনিটের সাক্ষাতকারে হাইকমিশনার আরোও বলেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৮ হাজারেরও অধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। তাদের মাধ্যমে বিস্তৃত হচ্ছে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন। এছাড়া উপযোগী ও প্রতিকূল পরিবেশ থাকায় প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়া ভ্রমণে আসেন।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে রয়েছে বাংলাদেশি কর্মীর ব্যাপক চাহিদা। অনেক মালিক (কোম্পানি) কর্মী হিসাবে বাংলাদেশিদের পছন্দ। কারন বাংলাদেশি কর্মীরা কর্মট। তারা কাজ জানে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন’অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ধারবাহিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০৪১ রূপকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে শামিল হতে চলেছে। বিদেশি বিনিয়োগে মালয়েশিয়ার অবস্থান নবম। বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করেছে বৃহৎ বাংলাদেশি কোম্পানি আকিজ গ্রুপ। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।