মালয়েশিয়ায় পুরোপুরি মহামারি করোনা সংক্রমনরোধে ফের লকডাউন ঘোষণা দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
গত ৭ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সেলেঙ্গর রাজ্যের ছয়টি জেলা, কুয়ালালামপুর এবং জোহরের কিছু অংশকে করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ আদেশের ঠিক কয়দিন পরেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক বিশেষ সভায় এ ঘোষণা দেন মুহিউদ্দিন।
একইসঙ্গে ১২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জারি করা লকডাউনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া লকডাউনে আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সাধারনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। বসানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে আগামী ১২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) বহাল থাকবে। পাশাপাশি এর আগে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন বিধিনিষেধগুলো ও আগের মতো বহাল থাকবে।
তবে লকডাউন চলাকালে সব চাইল্ড কেয়ার, প্রি-স্কুল, নার্সারি এবং কিন্ডারগার্টেনগুলোকে অভিভাবকদের কাজ সহজ করার জন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুযায়ি পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া একটি প্রাইভেটকারে ড্রাইভারসহ তিনজনের অধিক বসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) চলাকালীন সময়ে নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীদের অফিসের পরিবর্তে বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কর্মক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের কম স্টাফ নিয়ে অফিস পরিচলনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকার আশা করছে যে, জনগণ তাদের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং নির্ধারিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৭ জন এবং মৃত্যু বরন করেছেন ১৭ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৪ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরন করেছেন ১ হাজার ৭০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৮৮ জন।