হজের নির্ধারিত দিনের ফ্লাইট মিস করা যাত্রীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যারা হজ ফ্লাইট মিস করছেন, তাদের সাধারণ ফ্লাইটে (সর্বসাধারণের সঙ্গে) হজে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরি অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশের কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতিদিন গড়ে ১০ জন হজযাত্রী বিভিন্ন কারণে তাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে পারছেন না। বিষয়টি ফ্লাইট ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে না জানানোর কারণে তাদের স্থানে অন্য হজযাত্রী প্রতিস্থাপনও করা যাচ্ছে না। এ ধারা চলতে থাকলে নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে ব্যর্থ হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়বে এবং এটি পরবর্তী ফ্লাইটগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করবে। এতে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে ব্যর্থ হজযাত্রীদের মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে অন্য যে কোনো শিডিউল ফ্লাইটে (সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে) সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। যারা শিডিউল ফ্লাইটে হজে যাবেন, তাদের ফ্লাইট ঢাকা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সিরা মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্টকে জানাবেন। সৌদি আরবে ইমিগ্রেশনের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৮ জুলাই (৯ জিলহজ ১৪৪৩ হিজরি) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সাল দুই বছর বহির্বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতি একটু ভালো হওয়ায় এ বছর সারাবিশ্বের ১০ লাখ হাজি নিয়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।যাদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে, শুধু তারাই এবার হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
মোট হজ যাত্রীর অর্ধেক পরিবহণ করবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মোট ৬৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। গত ৫ জুন ৪১০ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরব গেছে বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট।