২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান এক বিস্ময়কর ও বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন, যা আজও ফুটবলপ্রেমীদের অন্তরে গেঁথে আছে।
ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মাতেরাজ্জির কিছু বাজে মন্তব্য শুনে মেজাজ হারান জিদান। মাথা দিয়ে সজোরে ঢুস মারে মাতেরাজ্জির বুকে। অমনি মাটিতে পড়ে বুকে হাত দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় মাতেরাজ্জিকে।
এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জিদান। পরে টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইতালি।
সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে এতোটাই প্রভাব ফেলে যে, ওই সময় ঘটনাটি জানেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিলই ছিল।
একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন জিদান। তখন গ্রামের এক নারী জিদানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ফাইনালে কেন অমনটা করলেন? কেন ঢুস মেরেছিলেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে?
জানা গেছে, এবারের বিশ্বকাপে জিদান-মাতেরাজ্জির সেই বিতর্কিত ঘটনা ফিরিয়ে আনছে কাতার।
সেই ঘটনা নিয়ে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ভাস্কর্যটিতে মাতেরাজ্জিকে জিদানের সেই গুঁতো মুহূর্তটি দেখা যাবে।
অবশ্য ভাস্কর্যটি ২০১৩ সালেই নির্মাণ করে রেখেছিল কাতার। আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি ভাস্কর আদেল আবদেসসেমেদ এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। এটি স্থাপনও করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি সেটি সরিয়ে ফেলা হয়।
সে সময় জানানো হয় মুসলিম দেশ কাতারে মূর্তিকে ভালো চোখে দেখা হয় না এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে শঙ্কায় ভাস্কর্যটি তখন সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে এবার বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার প্রশাসন।
কাতার জাদুঘরের চেয়ারপারসন শেইখা আল-মায়াসা আল-থানি জিদানের ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের ঘোষণা বলেন, ‘সমাজে পরিবর্তন আসে। মানুষ শুরুতে অনেক কিছুরই সমালোচনা করে, কিছু সময় পরে সেটা বুঝতে পেরে তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। জিদান কাতারের একজন অসাধারণ বন্ধু। আরব বিশ্বের জন্য জিদান একজন রোলমডেল।’