logo
আপডেট : 18 September, 2022 04:17
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

II এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন II

সকল বাধা-বিপত্তি ও ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যা কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা আজ সমার্থক। তাঁর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। তাঁর সুযোগ্যা কন্যা জাতিকে দিয়েছেন অভুতপুর্ব উন্নয়ন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সুখী সমৃদ্ধ “সোনার বাংলা” প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে দেশ পুনর্গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি হাতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে গ্রহণ করেছিলেন অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

কিন্তু খুনি মোশতাক, ফারুক-রশিদ চক্র তাঁর এই স্বপ্ন এবং পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে তাদের হাতে সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হন স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময়ে বিদেশে অবস্থান করায় এই হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পান। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান দীর্ঘ ছয় বছর তাদেরকে দেশে আসতে দেয়নি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন এবং বঙ্গবন্ধুর    অসমাপ্ত স্বপ্ন সুখী সমৃদ্ধ "সোনার বাংলা" বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দলের অগণিত নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের পর অবশেষে দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ পুনরায় দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের শোষিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে দেশ আবারও উন্নয়নের কক্ষপথে যাত্রা শুরু করে। মাঝে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছর এবং পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের শাসনামলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা আবার অবরুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু  ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থনে আওয়ামী লীগের ভূমি ধস বিজয়ের পর বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে, যা করোনাভাইরাস অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও মধ্যেও বর্তমানে একই গতিতে চলমান আছে।

প্রথমে করোনাভাইরাস অতিমারী এবং পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের উন্নয়ন ও অর্থনীতি যখন একরকম থমকে দাঁড়িয়েছে, তখন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি চলছে অদম্য গতিতে। কোভিড-১৯ রিকভারি সূচকে বিশ্বের ১২১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দুটোই নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের পাশাপাশি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এর উত্তাপ থেকে বিশ্বের কোন দেশই রেহাই পায়নি। শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোই নয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানের মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোতেও বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ আশির দশকের উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরে এটাই সর্বোচ্চ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বিশ্বমন্দার কারণে যেসব অর্থনীতিবিদ ও গণমাধ্যম আশংকা করেছিল যে বাংলাদেশে শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, তার জবাব দিয়েছেন আইএমএফ-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ কোন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে নেই এবং এর বাহ্যিক অবস্থান এতদাঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন’। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামুলকভাবে কম, অর্থাৎ জিডিপি’র ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশের ঋণ সংকটে পড়ার ঝুঁকি কম এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র শ্রীলংকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালে ১০টি শীর্ষ রেমিটেন্স প্রাপক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তার অবস্থান (সপ্তম) ধরে রেখেছে। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত এক্ষেত্রে বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিশাল অর্থনৈতিক অবদান এবং সরকারি প্রণোদনার কারণে।

এইচএসবিসি ব্যাংক সম্প্রতি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ছাব্বিশতম বৃহত্তম অর্থনীতি হবে কারণ গত বিশ বছরে দেশের টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। মুডি’স সম্প্রতি যেমন বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে নেই এবং বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিও কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী এবং খুবই ভালো। মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১৯৯০ সাল থেকে আটগুণ বেড়েছে। রপ্তানিও ২০২২ অর্থবছরে ৫২.১ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। বাংলাদেশের ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নতি দেশে, বিশেষ করে নারীদের, বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ স্থান প্রথম। এছাড়া বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ২০১৭ সালে বেড়ে ৩৬.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯৬ সালে ছিল ১৫.৮ শতাংশ৷

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে বাংলাদেশ 'জেন্ডার ওয়েজ’ ব্যবধান ২.২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে৷ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের স্কলার ড্যানিয়েল রুন্ডে উল্লেখ করেছেন, "বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রমাণ করে যে নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করে।" কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর ইকোনমিস্ট জেফ্রি শ্যাস গত বছর ঘোষণা করেন যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি করেছে। উপরন্তু, বাংলাদেশের আর্থিক খাত শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রমাণ করেছে যে, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ঋণ নিতে পারে এবং পরিশোধ করতে পারে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশের মান অর্জনের পথে রয়েছে, যা জাতিসংঘের মেট্রিক্স দ্বারাও নির্ধারিত হয়েছে। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে মাত্র পঞ্চাশ বছরে এটি একটি বিস্ময়কর কৃতিত্ব।

কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যেও  বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে সাফল্য ধরে রেখেছে। অতিমারীর প্রভাব থেকে শক্তিশালী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পর বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য হার অনুসারে ২০২০ সালের ১২.৫ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ১১.৯ শতাংশে নেমে এসেছে বলে বিশ্ব ব্যাংকের আরেকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২২ সাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর এই মাইলফলক অর্জিত হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।

গত ২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’র ঐতিহাসিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষের আজীবনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতি যতদিন বেঁচে থাকবে দেশের প্রতি তার এই অসাধারণ অবদানের কথা ততদিন গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। মূলত: বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্প ও সিদ্ধান্তেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। সরকারের কট্টর সমালোচক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রগুলো পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন। আসছে ডিসেম্বরে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মেট্রো রেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে এ বছর দেশের উন্নয়নের মাইলফলকে যোগ হতে যাচ্ছে আরেকটি পালক। এর মাধ্যমে পূরণ হতে যাচ্ছে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এবং উন্মোচন হতে যাচ্ছে রাজধানী তথা দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যখন সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে তখন গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানী আয় ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।  নিজস্ব অর্থায়নে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর মতো দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।  ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৭.২৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৮২৪ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যের আকাশচুম্বী দাম এবং বৈদেশিক রেমিটেন্সের পরিমাণ কমে যাওয়া সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গেছে দেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব উন্নতি, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের তাক লাগানো সাফল্য। বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ-এর মতো বহু মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল হবে।

১৯৯৬ সলে ক্ষমতায় এসে তিনি ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি এবং ভারতের সাথে বহুল প্রত্যাশিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালিয়ে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সফলতার কারণে নিস্পত্তি ঘটেছে ৩৫ বছর ধরে অমিমাংসিত থাকা বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত থাকা সমস্যা। মিয়ানমার কর্তৃক  জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের অকুন্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছেন তিনি।

কূটনৈতিক মহল প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছে। এই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও যে চুক্তি হয়েছে সেটিও একটি বড় সাফল্য ।

তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল রায় নিয়ে টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে । রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কূটনৈতিক
দক্ষতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য কুড়িয়েছেন সুনাম। বিডিআর বিদ্রোহের মতো দেশবিরোধী চক্রান্ত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, হেফাজতে ইসলামের অরাজক পরিস্থিতি, হলি আর্টিজান ঘটনা, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা ও সরকার উৎখাতে টানা তিন মাসের আন্দোলনকে শক্ত হাতে ব্যর্থ করে দিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি  বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশে বিদেশে সকল মহলের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন সমুন্নত রাখা, অভূতপূর্ব উন্নয়ন, জনগনের ভাগ্য পরিবর্তন, দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রাখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে তিনি চিরজাগরুক থাকবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আসছেন এবং আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যার ৭৬তম জন্মদিন। এই শুভক্ষণে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এবং মহান আল্লাহতায়ালার কাছে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপর্যন্ত প্রায় ৪০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হল :

২০২১ : জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক (SDSN) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দারিদ্র্য নিরসন, বিশ্বকে রক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার সার্বজনীন আহবানে সাড়া দেওয়ার জন্য "SDG Progress Award" প্রদান করে।

২০১৯ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঘনিষ্ঠ এবং পারস্পরিকভাবে সন্তোষজনক ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, তার দেশের জনগণের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের কল্যাণ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার জন্য তার প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি স্বরুপ "Dr Kalam Smriti International Excellence Awards-2019" পান।

২০১৯ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে "Lifetime Contribution for Women Empowerment Award" দিয়ে সম্মানিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ বার্লিনে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন প্রদত্ত পুরস্কার গ্রহণ করেন।

২০১৮ : রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে তার মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতি এবং এই ইস্যুতে তার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার -- the IPS International Achievement Award and the Special Distinction Award for Leadership -- পেয়েছেন।

২০১৭ : তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষা এবং উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে তার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য ২০১৭ সালে ‘‘Global Women's Leadership Award” লাভ করেন। 

২০১৫ : চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কার। জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি মোকাবেলায় জাতিসংঘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে। 

২০১৫ : ITU ( International Telecom Union ) Award। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে ।

২০১৫ : WIP (Women in Parliament ) Global Award। রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভুমিকা পালনের ২৫ মার্চ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এই পুরস্কার দেয়া হয়। 

২০১৪ : শান্তিবৃক্ষ পদক (Peace Tree Award)। নারী ও শিশু শিক্ষা ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে । এছাড়াও খাদ্য উৎপাদন ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভারসিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করে। 

২০১৩ : South South Award। খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কোঅপেরাশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে । 

২০১৩ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন প্রসূত “একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প" ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য তথ্য-প্রযুক্তি মেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক “Manthan Award’’ পদকে ভূষিত হন । 

২০১৩ : জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) দারিদ্রতা , অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় ১৬ জুন বাংলাদেশকে “Diploma Award’’ পদকে ভূষিত করে । 

২০১২ : বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য UNESCO ১৬ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে “Cultural Diversity’’ পদকে ভূষিত করে । 

২০১১ : ২৬ জানুয়ারি ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের স্পিকার Jhon Bercow MP মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গনতন্ত্র পুনুরদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব , সুশাসন , মানবাধিকার রক্ষা , আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য ‌‌‌‌‌Global Diversit প্রদান করেন । 

২০১১ : South South Award।  স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য International Telecommunication union ( ITU) South South News , এবং জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে South South Award 2011 : Digital Development Health এই পুরস্কারে ভূষিত করে। 

২০১০ :  MDG (Millenium Devolopment Goal ) : শিশু মৃত্যুর হ্রাস সংক্রান্ত MDG-4 অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ এই পুরস্কার প্রদান করে । 

২০১০ : ২৩ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অসমান্য অবদানের জন্য St. Petersburg University প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করেন । 

২০১০ : ১২ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত “ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক -২০০৯” এ ভূষিত হন । 

২০০৫ : জুন মাসে গনতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া । 

২০০০ : রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য ম্যাকন ওমেনস কলেজ যুক্তরাষ্ট্র “পার্ল এস বাক পদক’’ পদক প্রদান করে । 

২০০০ : ৪ ফেব্রæয়ারি ব্রাসেলসের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় “Doctor Honorius Caus’’ প্রদান করে । 

২০০০ : ৫ সেপ্টেম্বর “University of Bridgeport’’ কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে "Doctor of Humane Letters" প্রদান করে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য । 

১৯৯৯ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করে । 

১৯৯৯ : ২০ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ‘’ডক্টর অব লজ’’ ডিগ্রি প্রদান করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অবদানের জন্য । 

১৯৯৯ : ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ FAO কর্তৃক “সেরেস পদক"  লাভ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । 

১৯৯৮ : নরওয়ের রাজধানী অসলোয় মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘‌‘এম কে গান্ধী’’ পুরস্কারে ভূষিত করে। 

১৯৯৮: এপ্রিল শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ‘‌‘মাদার তেরেসা পদক” প্রদান করে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ। 

১৯৯৮ : পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ‘‌‘ফেলিক্স হুফে বইনি’’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৯৮ : ২৮ জানুয়ারী শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতীর এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মানমূচক ‘‌‘দেশিকোত্তম” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৯৯৭ : লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক এ্যাসোসিয়েশন কতৃক “রাষ্ট্রপ্রধান পদক’’ এ ভূষিত হন।

১৯৯৭ : রোটারী ইন্টারন্যাশনালের রোটারী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে “পল হ্যারিস ফেলো” নির্বাচিত করে এবং ১৯৯৬- ১৯৯৭ সালের সম্মাননা মেডেল প্রদান করে।

১৯৯৭ : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি শান্তি, গণতন্ত্র ও উপমাহদেশের দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ শেখ হাসিনাকে “নেতাজী মেমোরিয়াল পদক ১৯৯৭” প্রদান করে। 

১৯৯৭ : ২৫ অক্টোবর গ্রেট বৃটেনের ডান্ডি অ্যাবার্তে বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী “ডক্টর অব লিবারেল আর্টস” ডিগ্রি প্রদান করে। 

১৯৯৭ : ১৫ই জুলাই জাপানের বিখ্যাত ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক “ডক্টর অব লজ” ডিগ্রি প্রদান করে। 

১৯৯৭ : ৬ ফেব্রুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসুচক “ডক্টর অব লজ” উপাধি প্রদান করে। 

লেখক: প্রেস মিনিস্টার, বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি।