logo
আপডেট : 1 October, 2022 12:21
যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে

যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে

তুহিন সানজিদ: 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছি। 
 
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখা,   সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলছে। 

তিনি আরও বলেন, খুনিরা এমনকি চার বছরের শিশু ও নারীদেরও রেহাই দেয়নি। 

তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির রাজনীতি সূচনা করেছিলেন। 

বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার এবং অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলেছে। 

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। কিন্তু, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবশেষে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।  

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। 

তিনি আবারও জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সব ধরনের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করেন।