যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে অভিবাসীদের আসা ঠেকাতে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এ জরুরি অবস্থা জারি করেন।
গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে এসেছেন প্রায় ১৭ হাজার অভিবাসী। টেক্সাস, অ্যারিজোনা ও ফ্লোরিডার মতো রিপাবলিকান রাজ্যগুলো সম্প্রতি ডেমোক্রেট রাজ্যগুলোতে অভিবাসী পাঠাতে শুরু করেছে। অভিবাসীদের পাঠানো হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক ও শিকাগোতে।
ডেমোক্রেট মেয়র অ্যডামস জানান, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি বাসে করে অভিবাসীরা আসছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রতি ৫ জনে ১ জন আশ্রয়প্রার্থী। অনেকেই সপরিবারে আসছেন, যাদের স্কুলপড়ুয়া সন্তান রয়েছে। আর এই মানুষগুলোর জরুরিভাবে চিকিৎসা দরকার।
এভাবে আসতে থাকা অভিবাসীদের জন্যে নিউ ইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। খরচের এই বাড়তি চাপ নিতে না পেরে মেয়র অ্যাডামস ফেডারেল সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অ্যাডামস বলেন, নিউ ইয়র্কের মানুষ এই পরিস্থিতে খুব রাগান্বিত। রাগান্বিত আমি নিজেও। এমন কোনো আইন নেই যে এই অভিবাসীদের থাকা-খাওয়া বা চাকরির দায়িত্ব আমাদের বহন করতে হবে। আমরা আর পারছি না।
মেয়র বলেন, শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আর তিল ধারনের জায়গা নেই। গৃহহীন নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে কেন্দ্রগুলোতে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে ২০ হাজারের মতো শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার শিশুকে সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
অ্যাডামস বলেন, আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এতো মানুষ আর কখনো ছিলো না। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা ভিন্ন পথ ছিলো না বলে জানান তিনি।