logo
আপডেট : 11 October, 2022 23:32
অস্থিরতা বাড়ছে, এবার জামছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ
ঢাকা অফিস

অস্থিরতা বাড়ছে, এবার জামছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দে ঘুমহারা সীমান্তের এপারে বসবাসরত বাংলাদেশি এবং আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। আতঙ্কে ঘর থেকে কেউ খুব একটা বের হচ্ছেন না। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকাবাসীর খাদ্য সংকটে পড়ার উপক্রম হয়েছে। 

এবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংরছড়ির জামছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার জামছড়ির ৪৫ সীমান্ত পিলারের কাছে বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। 

স্থানীয় শিক্ষক মো. আবুল ফয়েজ জানান, ভোর ৬টার দিকে জামছড়ি এলাকার দুই দেশের ৪৫ সীমান্ত পিলারের কাছে পরপর তিনটি বিকট শব্দের আওয়াজ তিনি শুনতে পেয়েছেন। 

তুমব্রুর ব্যাবসায়ী সরোয়ার জানান, মাগরিবের আজানের সামান্য আগে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি।

তবে ঘুমধুমের ৩নং ইউপি সদস্য মো. আলম জানান, তুমব্রু এলাকার ৩৪ ও ৩৫ সীমান্ত পিলারের কাছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কোনো শব্দ শুনতে পাননি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে গোলা পড়েছে। এতে একজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনাপাড়া ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভয়ে গত কয়েকদিনে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামের অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে দূরের আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গোলাগুলির শব্দ কিছুটা কমে আসায় গতকাল তাদের কেউ কেউ ঘরে ফিরেছিলেন। তবে সকালে ফের গোলাগুলির শব্দে তারা আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী বলেন, 'প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণকে নিরাপদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়। আর আমরা জরুরি সভা আহ্বান করেছি। সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে স্থানীয়দের নিরাপদ রাখা যায়। সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।'