২০২৩ সালে অস্কারে যাচ্ছে পাকিস্তানি ছবি ‘জয়ল্যান্ড’। যার কার্যনির্বাহী প্রযোজক নোবেলজয়ী মহিলা শিক্ষাবিদ মালালা ইউসুফজাই। আন্তর্জাতিক কাহিনিচিত্র বিভাগে মনোনীত হয়েছে ছবিটি। জিনিউজ বাংলা , আনন্দ বাজার
মালালার নিজস্ব ছবি প্রযোজনা সংস্থা ‘এক্সট্রাকারিকুলার’-এর তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’। বছরের শুরুতে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তা ছাড়াও ক্যুইয়ার পাম এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার জিতেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
যৌনতার বিপ্লব এ ছবির বিষয়বস্তু। বংশরক্ষায় উন্মুখ এক পুরুষতান্ত্রিক পরিবার যখন পুত্রসন্তানের আশায় প্রার্থনা করে চলে, সেই পরিবারের মুখেই ঝামা ঘষে দেয় ছোট ছেলে। বড় হয়ে সে নাচগান-নাটকে মেতে ওঠে। ‘পুরুষসুলভ’ আদবকায়দা রপ্ত করার বদলে সে প্রেমে পড়ে যায় এক বৃহন্নলার। সব মিলিয়ে ‘জয়ল্যান্ড’ আসলে যৌনতার সামাজিক ধারণা ভেঙেচুরে দেয়, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
মালালা বলেন, ‘পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় করিয়ে দেয় ‘জয়ল্যান্ড’। আমি ভীষণ গর্বিত এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে। পাশে থাকতে পেরে। এ ছবি আমাদের চোখ খুলে দেয়। চারপাশের মানুষ, পরিবার-পরিজনকে নতুন করে চিনতে শেখায়। আমরা নিজেদের প্রত্যাশা দিয়ে তৈরি নই, সমাজের পরিয়ে দেওয়া রঙিন চশমা দিয়ে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।’
২০২১ সাল। মালালা অ্যাপল টিভি প্লাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সইম সাদিক রচিত এবং পরিচালিত ‘জয়ল্যান্ড’ তারই এক প্রকল্প। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ প্রশংসা অর্জন করেছে জয়ল্যান্ড। সায়েম সাদিক পরিচালিত এবং অপূর্ব গুরু চরণ, সারমাদ সুলতান খুসাত ও লরেন মান প্রযোজিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আলি জুনেজো, রাস্তি ফারুক, আলিনা খানের মতো অভিনেতারা।
সিনেমার ব্যাপারে মালালা জানিয়েছেন, আমি গর্বিত এমন একটি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে। এই ছবি প্রমাণ করে, পাকিস্তানি শিল্পীরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সেরাদের তালিকায় থাকতে পারে। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা আমাদের চারপাশের মানুষদের চিন্তা ভাবনা বদলাতে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকের উচিত পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের এমন দৃষ্টিতে দেখা যা তাদের মৌলিকভাবে বিচার করার ক্ষমতা দেবে। প্রতিটি মানুষ যেমন তাকে সেভাবেই গ্রহণ করা বার্তা দেয় এই ছবি।