জেরুজালেমকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির এমন সিদ্ধান্তকে সাহসী পদক্ষেপ উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মিসরের ‘আল আজহার’ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ সমর্থনের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জেরুজালেমকে ইহুদিবাদীদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি বাতিলে অস্ট্রেলিয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানায় আল-আজহার।পাশাপাশি এ বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বলতে চায় যে, জেরুজালেম অতীতেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল, আছে এবং থাকবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের অধিকার ইস্যুতে আল আজহার তাদের অবস্থানে অটল রয়েছে। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বাতন্ত্র–স্বকীয়তা রক্ষা ও আল কুদসকে তাদের রাজধানী হিসেবে বহাল রাখা– এসবের বিরুদ্ধে যে কোন পদক্ষেপের আল আজহার তীব্রভাবে নিন্দা জানায়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা আর পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবে না।এদিন পূর্ববর্তী রক্ষণশীল প্রশাসনের পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত তা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানায় দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ক্যানবেরায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেছেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে শহরটির মর্যাদা নির্ধারণ করা উচিত, একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নয়।
দেশটির সাবেক রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তেল আবিবে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস রেখে দিয়েছিলেন।
ওং বলেছেন, মরিসনের সিদ্ধান্তটি একটি বৃহৎ ইহুদি জনসংখ্যা অধ্যুষিত সিডনির উপকণ্ঠে একটি বিশেষ সংসদীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একটি ‘নেতিবাচক’ প্রচেষ্টা।
এ ঘটনায় ইসরাইলের পররাষ্ট্রর মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।