আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে রাতভর অভিযান চালিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ছয় সদস্যকে হত্যা করেছে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবানের প্রশাসনের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।
মুখপাত্র কারি ইউসুফ আহমাদি বলেছেন, গোপন আস্তানায় অভিযানে নিহত ইসলামিক স্টেট সদস্যরা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চালানো দুটি বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল; কাবুলের এক মসজিদে এবং একটি নারী শিক্ষাকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল তারা।শিক্ষাকেন্দ্রে হামলায় কয়েক ডজন নারী শিক্ষার্থী নিহত হন।
অভিযানে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন জানিয়ে আহমাদি বলেছেন, অভিযানের আইএসের যে সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তারা ওয়াজির আকবর খান মসজিদ এবং কাজ ইনস্টিটিউটের হামলাকারী।
যদিও ওই দুই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীই স্বীকার করেনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কাবুলের কাজ ইনস্টিটিউট শিক্ষা কেন্দ্রের নারী শাখায় বিস্ফোরণে অন্তত ৫৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। যাদের বেশিরভাগই কিশোরী এবং তরুণী।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর কাবুলের ওয়াজির আকবর খান মসজিদের কাছে এক বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন নিহত ও আরও ৪০ জনের বেশি আহত হন। ওয়াজির আকবর খান কাবুলের অত্যন্ত সুরক্ষিত এক এলাকা; যা অতীতে ‘গ্রিন জোনের’ অংশ ছিল। সেখানে বিদেশি সব দূতাবাস এবং সৈন্যদেরও ঘাঁটি ছিল।
গত বছরের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালেবান বলছে, কয়েক দশকের যুদ্ধের পর দেশকে সুরক্ষিত করার কাজে মনোনিবেশ করেছে তারা। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিরিজ বিস্ফোরণে দেশটির রাজধানী কাবুল ও অন্যান্য শহরাঞ্চল কেঁপে উঠেছে। জাতিসংঘ বলেছে, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অনুসারী অংশ ইসলামিক স্টেট খোরাসান নামে পরিচিত। এই গোষ্ঠীকে তালেবান নিজেদের শত্রু বলে মনে করে। ইসলামিক স্টেটের অনুগত যোদ্ধারা ২০১৪ সালে প্রথমবারের পূর্ব আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরে অন্যান্য এলাকায় প্রবেশ করে।