বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। দেশটির প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসে মাত্র ৪২ বছর বয়সে কেউ প্রধানমন্ত্রী হননি।
২০২২ সালের রক্ষণশীল বিধায়কদের কমিটির প্রধান সুনাককে কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা হিসাবে ঘোষণা করেছেন। ফলে তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেছেন, সুনাক তার নেতৃত্বের দৌড়ে জয়লাভের পর কনজারভেটিভ এমপিদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উল্লেখ্য, ১৯২২ কমিটি দলের কমিটি নেতা নির্বাচন ও পরিবর্তনের নিয়ম নির্ধারণ করে।
খবরে আরও বলা হয়, কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঋষি সুনাক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেনি মর্ডান্ট তাদের কাছে যান। এ সময় ঋষি সুনাককে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করবেন। তাকে অত্যন্ত ভালো বলেও অভিহিত করেন পেনি।
তার আগে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। পোস্টে তিনি লেখেন- নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সীমিত সময়সীমা সত্ত্বেও এটি পরিষ্কার- সহকর্মীরা মনে করেন আজ আমাদের নিশ্চয়তা দরকার। তারা দেশের ভালোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঋষির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমার প্রতি যারা প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমর্থন জোগাড় করেছেন ঋষি। তার নেতৃত্বে যাওয়ার পথ মসৃণ হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরে যাওয়ার কারণে। ঋষিকে সমর্থন দিয়েছিলেন ১৫৫ জন সদস্য। পেনি পেয়েছিলেন ৯০ জনের। এখন যেহেতু তিনি নিজেই ঋষিকে সমর্থন দিয়েছেন, বলা চলে কনজারভেটিভ ৩৫৭ সদস্যর সবার সমর্থন পেলেন তিনি। সে হিসেবে বিনা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এ ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
ঋষি সুনাকের জন্ম: ১৯৮০ সালের ১২ মে। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ যিনি ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, পূর্বে ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোষাগারের মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । কনজারভেটিভ পার্টির একজন সদস্য হিসেবে, তিনি ২০১৫ সাল থেকে রিচমন্ড (ইয়র্ক) এর সংসদ সদস্যের (এমপি) দায়িত্ব পালন করছেন ।