রেমিট্যান্স পাঠাতে এখন থেকে আর চার্জ দিতে হবে না প্রবাসী বাংলাদেশিদের। একই সঙ্গে বিদেশে ছুটির দিনেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন তাঁরা। চলমান ডলার সংকটে বৈধভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে এসব উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা।
আজ রোববার সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি ও বাফেদার বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে মওকুফ করা হয়েছে রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ বা কমিশন ফি। কোনো ধরনের খরচ ছাড়া আগামীকাল সোমবার থেকে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। একই সঙ্গে ছুটির দিনগুলোতেও এখন রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। কারণ ছুটির দিনও এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে এবং রপ্তানি আয়ে নির্ধারণ করা হয় ৯৯ টাকা।
অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমে ১৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। গত সেপ্টেম্বরে কমে তা ১৫৪ কোটি ডলারে নামে।
এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।