মেয়াদ শেষের আগেই রাজীব গান্ধীর খুনের ৬ হত্যাকারীকে মুক্তি দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ওই তালিকায় রয়েছেন নলিনী শ্রীহরন এবং আর পি রবিচন্দ্রন। এদের দায়ের করা আবেদনেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ধরা পড়েছিলেন মোট সাতজন। তাদের মধ্যে এ জি পেরারিভালানকে সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসে মুক্তি দিয়েছিলেন। ৩১ বছর জেল খাটার পর নলিনীর সঙ্গে মুক্তি পায় জয়কুমার, সন্তন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস ও রবিচন্দ্রন।
তাদের মধ্যে গত ১৮ মে এজি পেরারিভালানকে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুক্তি দেন সুপ্রিম কোর্ট, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন।
এছাড়া এই ছয় আসামির মধ্যে নলিনী শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২-এর আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।
ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এজি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ভারতের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব। ১৯৯১ সালে দক্ষিণ ভারতে এক নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। এলটিটির এক নারী গেরিলা এই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই রাজীব মারা যান। এর আগে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে হত্যার শিকার হন সেই সময়কার ভারতের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী।