ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা মোকাবিলা করতে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পেয়েছে ইউক্রেন৷ সামরিক বাহিনীর শক্তি নিশ্চিত করতে ওই দেশের সরকার কিছু কোম্পানি অধিগ্রহণ করছে৷
রাশিয়ার লাগাতার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেন আকাশসীমার প্রতিরক্ষা আরো জোরদার করতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছিল৷ সোমবার সে দেশের সরকার জানিয়েছে, যে একাধিক পশ্চিমা দেশ থেকে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এসে পৌঁছেছে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, ইউক্রেন নাসামস ও ইটালির অ্যাপসাইড এয়ার ডিফেন্স প্রণালী হাতে পেয়েছে৷
এর আগে জার্মানি সে দেশকে এমন প্রণালী সরবরাহ করেছে৷ তার মতে, এর ফলে ইউক্রেনের আকাশ অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে উঠবে৷ রেজনিকভ নরওয়ে, স্পেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷
তবে বিশেষ করে বিদ্যুৎ পরিষেবা ইতোমধ্যেই এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ আপাতত কোনো উন্নতির সম্ভাবনা দেখছে না৷ রাশিয়ার হামলায় দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে বলে সরকার জনসাধরণের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছে৷ কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট-সহ বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির উল্লেখ করেন৷
এমন কঠিন সমস্যা সত্ত্বেও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি ‘জরুরি গুরুত্ব'-সম্পন্ন জ্বালানি ও উৎপাদন কোম্পানি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ সামরিক বাহিনীর জন্য যথেষ্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে সরকার জানিয়েছে৷ ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি ওলেক্সি ডানিলভ বলেন, সামরিক বাহিনীর চাহিদা মেটাতে একটি বিমান ইঞ্জিন উৎপাদনকারী কোম্পানিও অধিগ্রহণ করা হচ্ছে৷
এদিকে দক্ষিণে খেরসন এলাকা দখলদারি রুশ বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এখনো সরাসরি অভিযান শুরু করেনি৷ খেরসন শহর প্রায় খালি করে ফেলার পর রুশ সৈন্যরা খালি ঘরবাড়িতে লুটপাট চালাচ্ছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে৷ সংকট মেটানোর লক্ষ্যে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলইয়াক৷
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রশাসন গোপনে ইউক্রেনের নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করছে৷ লোকচক্ষুর অন্তরালে মস্কোর সঙ্গেও ওয়াশিংটন সরাসরি সংলাপ চালাচ্ছে বলেও সেই সব প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পূবের দনেৎস্ক অঞ্চলে জোরালো সংঘর্ষের ফলে রুশ সেনাবাহিনীর বিশাল সংখ্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে৷