কৃষ্ণসাগরসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি বন্দরে আটকা শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বেড়েছে। আগামী ৪ মাস (১২০ দিন) চুক্তি অনুসারে এ কার্যক্রম চলবে।
এতে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, সেটি কার্যত শান্ত হলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির এ তথ্য জানান। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন থেকে শস্য, খাদ্যসামগ্রী ও সার রপ্তানির নিরাপদ নৌচলাচল সহজতর করতে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি নিয়ে সব পক্ষ রাজি হয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। আগামী ১২০ দিন চুক্তি অনুসারে এ কার্যক্রম চলবে।
রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানির যেসব বাধা আছে, জাতিসংঘ তা অপসারণ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও চুক্তির একটি অংশ মস্কো সমালোচনামূলক হিসাবে দেখে।
ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেক্সান্দার কুব্রাকভ চুক্তি সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তকে খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
চুক্তির শর্ত বা সুযোগের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই এ চুক্তিতে অটল থাকতে রাশিয়া সম্মত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে শস্য রপ্তানি চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরে নৌবহরে হামলার পর নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে এ চুক্তি প্রত্যাহার করা হয়। যদিও পরে আবার চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয় মস্কো।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চালু রাখতে চুক্তি করে রাশিয়া। চলতি বছরের জুলাইয়ে কৃষ্ণসাগরীয় এলাকায় একটি সুরক্ষিত অঞ্চল গড়ে তুলতে এ চুক্তি হয়। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংকট মোকাবিলায় এ চুক্তি করা হয়েছিল।